লকডাউনে প্রতিদিন অন্তত চার ঘণ্টা দোকানপাট খোলা রাখার দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ওই এলাকার দোকানি ও ব্যবসায়ীরা।
রোববার প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ করেন দোকানিরা। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
সোমবার থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এর আওতায় নিত্যপণ্য ছাড়া সারা দেশের দোকানপাট বন্ধ থাকবে। কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই রোববার দুপুর সোয়া তিনটার দিকে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে একত্রিত হয় ওই এলাকার কয়েকশ দোকান মালিক ও কর্মচারী।
নীলক্ষেত-নিউ মার্কেট-গাউছিয়া এলাকা বিপুল সংখ্যক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও দোকানীর ব্যবসাকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। কয়েক হাজার দোকান রয়েছে এখানে।
রোববার এক প্রজ্ঞাপনে সরকার লকডাউন বাস্তবায়নের ১১ দফা নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়নে নির্দেশ জারি করেছে।
এতে বলা হয়: ‘শপিং মলসহ অন্যান্য দোকানসমূহ বন্ধ থাকবে। তবে দোকানসমূহ পাইকারি ও খুচরা পণ্য অনলাইনের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বাবস্থায় কর্মচারীদের মধ্যে আবশ্যিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং কোনো ক্রেতা সশরীরে যেতে পারবে না।’
এ ঘোষণার পর দুপুর সোয়া তিনটার দিকে নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চন্দ্রিমা, ঢাকা কলেজসংলগ্ন বিপণিবিতানগুলোর দোকানি ও ব্যবসায়ীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় তারা লকডাউন বিরোধী স্লোগান দেন এবং এ সড়কে বাস, কারসহ ২১টি গাড়ি ভাঙচুর করেন।
দোকান মালিকদের দাবি, লকডাউনে বিপণিবিতান বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে সরকারকে।
বিক্ষোভকারীরা গাড়ি ভাংচুর করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে কাউকে আটক করা হয়নি।