হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে নষ্ট ও ভণ্ড উল্লেখ করে তার রিসোর্ট কাণ্ডে লজ্জা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
রোববার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। মামুনুলকে বর্জনে মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
শনিবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়্যাল রিসোর্টে এক নারীকে নিয়ে যাওয়ার পর স্থানীয়রা তাকে অবরোধ করেন। সে সময় মামুনুল ওই নারীকে নিজের স্ত্রী পরিচয় দিলেও তার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে।
তবে হেফাজতে ইসলাম মামুনুলের পক্ষে আছে এবং তারা ওই ঘটনায় তাদের নেতাকে হয়রানি করা হয়েছে দাবি করে দেশের নানাস্থানে ভাঙচুর চালিয়েছে।
হাছান বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের এই সমস্ত নেতাদের যারা সমর্থন করেন তাদের কেমন লাগছে জানি না, আমার প্রচণ্ড লজ্জা লাগছে।
‘মুসলমান হিসেবেও খুব লজ্জা বোধ করছি। যিনি নিজেকে আলেম হিসেবে পরিচয় দেন, আলেমের লেবাস তার আছে বাহ্যিকভাবে, তিনি এই ধরনের কাজ করেছেন, কিন্তু ইসলাম তো এগুলো সমর্থন করে না।’
হাছান বলেন, ‘আসলে এই সমস্ত নেতৃবৃন্দ মামুনুল হকসহ যারা দেশে একটি বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে অপচেষ্টা চালিয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব চালিয়েছে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঢাকা নারায়ণগঞ্জসহ তাণ্ডব চালিয়েছে, তাদের নেতৃত্ব নষ্ট এবং ভণ্ড, তার প্রমাণ হচ্ছে কালকের ঘটনা প্রবাহ।
‘মামুনুল হকরা ইসলামের ধ্বজা ধরে, ইসলামের লেবাস পরে আসলে কী করছেন- সেটি কালকে বেরিয়ে পড়েছে জনতা তাকে আটক করার প্রেক্ষিতে। আমি এজন্য মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানাব এ সমস্ত নষ্ট এবং ভণ্ড নেতৃত্বকে বর্জন করার জন্য।’
মামুনুল যা করেছেন, সেটা ইসলাম কখনও অনুমোদন করে না মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘মামুনুল বলেছেন তিনি ওই নারীকে নিয়ে একটু রিলাক্স করতে গিয়েছেন। এ সময় করোনার মধ্যে যেখানে সবাই ঘরবন্দি, কীভাবে নিজেকে সুরক্ষা করবে; সেখানে একটি বিলাসবহুল রিসোর্টে গেছেন রিলাক্স করার জন্য!
‘এরা যে ইসলামকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে, ভণ্ড লেবাস পরে, তার প্রমাণ হচ্ছে কালকের ঘটনা।’