বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালেদার নাইকো দুর্নীতি: পেছাল অভিযোগ গঠন

  •    
  • ৪ এপ্রিল, ২০২১ ১৫:২৫

মামলাটির অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানির জন্য রোববার ধার্য ছিল। ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগার ভবনের সামনে ৯ নম্বর (অস্থায়ী) আদালতের বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান অসুস্থতার কারণ ছুটিতে রয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত বিচারক নজরুল ইসলাম পরবর্তী শুনানির জন্য ৬ মে ধার্য করেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় আংশিক অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়েছে।অসুস্থতার কারণে বিচারক আদালতে হাজির হতে না পারায় তারিখ পেছানো হয়েছে।

শুনানির জন্য আগামী ৬ মে তারিখ দিয়েছে আদালত। মামলাটির অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানির জন্য রোববার দিন ছিল।ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগার ভবনের সামনে ৯ নম্বর (অস্থায়ী) আদালতের বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান অসুস্থতার কারণ ছুটিতে রয়েছেন। এ কারণে ভারপ্রাপ্ত বিচারক নজরুল ইসলাম অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য নতুন তারিখ ধার্য করেন।খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নাল আবেদীন নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।নাইকো দুর্নীতি মামলায় যে অভিযোগ

কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন।

২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সদ্যপ্রয়াত মওদুদ আহমদ, তৎকালীন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এএইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ৷

এর মধ্যে এ কে এম মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমেদের মৃত্যু হওয়ায় তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

এরই মধ্যে দুটি দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়েছেন খালেদা জিয়া। এর মধ্যে বিপক্ষে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর।

খালেজাকে মুক্ত করতে উচ্চ আদালতে যত চেষ্টা করেছে তার সবই বিফলে গেছে বিএনপির। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে ‘মানবিক আবেদন নিয়ে’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যান খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। অবশ্য বিএনপি এই উদ্যোগে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে।

খালেদার স্বজনদের আবেদনে প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক সাড়া দেন। গত ২৪ শে মার্চ শর্ত সাপেক্ষে সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে ছয় মাসের জন্য। পরের দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে মুক্তি পেয়ে গুলশানের বাসভবনে ফেরেন বিএনপি নেত্রী। এরপর থেকে সেখানেই আছেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর