বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আদালতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত সরকারের ঘোষণা দেখে

  •    
  • ৪ এপ্রিল, ২০২১ ১২:১৪

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘কোর্ট কীভাবে চলবে আজকে আমরা ডিসাইড করব। সরকার কী নোটিশ দেয়...আমরা আমাদের মতন চালাব।’

করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাক্কা সামাল দিতে সরকারের পক্ষ থেকে কী ঘোষণা আসে, তা দেখে দেশের আদালত কীভাবে চলবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

রোববার সকালে আপিল বিভাগে মামলা শুনানির ফাঁকে এ কথা জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘কোর্ট কীভাবে চলবে আজকে আমরা ডিসাইড করব। সরকার কী নোটিশ দেয়...আমরা আমাদের মতন চালাব।

‘‌চললেও তো বর্তমানে যে অবস্থা…ঢাকা কোর্টে হাজার হাজার লোক। আমি এগুলোর সব ভিডিও এনেছি। সুতরাং আমরা এখন কী করব তা আগে ডিসাইড করব।’

এ সময় সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী বলেন, ‌‘গতকাল আমাদের তিনজন মেম্বার মারা গেছেন।’

প্রধান বিচাপতি বলেন, ‘‌একজনকে চিনি।’

প্রবীর নিয়োগী বলেন, ‌‘তানভীর পারভেজকে তো সবাই চিনেন। আরও দুজন মারা গেছেন। একজন হলেন একরামুল হক চৌধুরী। আরেকজন আহসান উদ্দিন সরদার, উনি মারা গেছেন বরিশালে। আমাদের বারের মেম্বার।’

এ সময় বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান বলেন, একরামুল হক চৌধুরী ডিস্ট্রিক্ট জজ ছিলেন।

তখন প্রধান বিচারপতি এ দুই আইনজীবীর মৃত্যুতে শোকবাণী দিতে সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।

প্রবীর নিয়োগী বলেন, ‘আমাদের লার্নেড অ্যাটর্নি জেনারেল আছেন। তারপরে মিস্টার এম আমীর উল ইসলামের ইসলামের মতো মোস্ট সিনিয়র লিডার অব দ্য বার আছেন, আমাদের ফিফটি পার্সেন্টের বেশি ল’ইয়ারের কিন্তু বাসা থেকে করার মতো লজিস্টিকস সাপোর্ট নাই। এগুলা বিবেচনা করে আর গভমেন্ট কী করে করে দেখে সিদ্ধান্ত দেন মাই লর্ড। এক সপ্তাহের জন্য আপাতত…।’

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনাদের যদি না থাকে…সাংবিধানিক কোর্ট বন্ধ থাকতে পারে না। ইন্ডিয়াতেও বন্ধ রাখে নাই। এখানে কোর্টে আসতে দিলে হাজার হাজার লোক আসবে।’

প্রবীর নিয়োগী বলেন, ‘সাংবিধানিক ইস্যুতে আপনাদের তো ডিসিশন দিতেই হবে। যেটা আসবে কোর্টের সামনে সেটা তো দিতেই হবে।

‘ইন্ডিয়ার সুপ্রিম কোর্ট একেবারে প্রথম থেকেই ওইটার (ভার্চুয়াল) দ্বারা উনারা বজায় রেখেছেন। এমনকি হাই কোর্টও বজায় রেখেছেন।’

এর আগে গত ৩১ মার্চ করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আদালতে প্রবেশের সময় সবাইকে মাস্ক পরার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি।

সে সময় সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছিলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানা ও মাস্ক না পরার কারণে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে।

ওই দিন আপিল বিভাগের বিচারকাজ শুরুর সময় আইনজীবীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘আদালতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, অন্যথায় সংক্রমণ বাড়তেই থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানা ও মাস্ক না পরার কারণে করোনা বাড়ছে।’

তার এ বক্তব্যের আগের রাতে করোনা প্রতিরোধে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন আইনজীবী-বিচারকদের কালো কোট ও গাউন না পরতে নির্দেশনা জারি করে।

এ বিভাগের আরো খবর