খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে আজ। দিনটি যিশুখ্রিস্টের পুনরুত্থানের।
রাজধানীর কাকরাইলে সেন্ট মেরিস ক্যাথিড্রাল গির্জায় রোববার ইস্টার সানডে পালন হচ্ছে। করোনা মহামারি থেকে মুক্তি ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য বজায় রেখে সামনে এগিয়ে যেতে সকালে প্রার্থনা করা হয়েছে।
কাকরাইল গির্জা প্রার্থনার সঙ্গে মিল রেখে সাজানো হয়েছে। প্রার্থনার বেদি সুসজ্জিত করা হয়েছে ফুল দিয়ে। প্রভু যিশুর পুনরুত্থানের তাৎপর্য সবার কাছে পৌঁছে দেয়া এবং তার পুনরুত্থানের আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেয়ার আহ্বান করা হয় প্রার্থনায়।
পবিত্র বাইবেল থেকে পাঠ, যিশুখ্রিস্টের পুনরুত্থান দিবসের তাৎপর্যসহ ধর্মীয় নানা বিষয় তুলে ধরেন গির্জার ফাদার বিমল ফ্রান্সেস গোমেজ।
ফ্রান্সিস গোমেজ বলেন, ‘যিশুখ্রিস্ট শান্তির বার্তা নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন। আজকের দিনে তার পুনরুত্থান হয়েছিল। তিনি আমাদের মৃত্যুকে জয় করার পথ দেখিয়েছেন।
‘আমাদের প্রার্থনা সারা বিশ্বের মানুষের মঙ্গল এবং দেশ ও জাতির শান্তিকামনা। একই সঙ্গে সমগ্র বিশ্ব যেন করোনামুক্ত হয় সেটিও আমাদের প্রার্থনা। ইস্টার সানডে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় প্রধান ধর্মীয় উৎসব।’
খ্রিস্টানদের বিশ্বাস, মৃত্যু শক্তিশালী কিন্তু ঈশ্বর আরও শক্তিশালী। যত কঠিন পথ আসুক পার করা যাবে, কারণ ঈশ্বর সঙ্গে আছেন।
যিশু এদিন মৃত্যুকে জয় করে ফিরে এসেছিলেন। এদিন যিশুকে স্মরণ করে বিশ্ব-আত্মার উদ্দেশ্যে শান্তি কামনা করা হয়।
খ্রিস্টানরা মনে করেন, প্রভু যিশু মানবজাতিকে মুক্তি দিতে এই জগতে এসেছিলেন। সেই মুক্তির কাজটি তিনি সম্পন্ন করেন তার জীবন উৎসর্গ করে এবং আবার তিনি ফিরে আসেন (৪০ দিন পর তিনি স্বর্গারোহণ করেন)।
যিশুর এই ফিরে আসা বা পুনরুত্থানের দিনটিকে বলা হয় ইস্টার সানডে। ইস্টার শুরু হয় তপস্যাকাল বা প্রায়শ্চিত্তকাল দিয়ে, যা একধরনের রোজা। মনকে পরিবর্তন করার জন্য এই রোজা রাখা হয়।
ইস্টার সানডের আগের ৪০ দিন বা ছয় সপ্তাহ ধরে তপস্যা করা হয়। প্রার্থনা, উপাসনা ও ত্যাগ স্বীকার— এই তিনটি কাজ করা হয়; এটি ইস্টার সানডের প্রস্তুতিপর্ব।