অত্যাবশকীয় সেবা ছাড়া লকডাউনে সবকিছু বন্ধ থাকবে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কেউ ঘরের বাহিরে যেতে পারবে না।
এ ছাড়া লকডাউনে গণপরিবহন, দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ, বিমান ও ট্রেন চলবে কি না, সে বিষয়ে শনিবার রাতেই নির্দেশনা তৈরি হবে, যা রোববার প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানানো হতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম শনিবার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সরকারের একাধিক মন্ত্রী এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার সোমবার থেকে এক সপ্তাহের লকডাউনে যাচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১২ দিনের লকডাউনের প্রস্তাব দিয়েছে তাদের অধিদপ্তর। এ প্রস্তাবের ভিত্তিতে এরই মধ্যে সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক খুরশীদ আলম বলেন, ‘আজ (শনিবার) কেবিনেট সচিব আনোয়ার হোসেন ও মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউসের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে। এতে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ১২ দিনে পূর্ণ লকডাউনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সরকার বলেছে, প্রথম এক সপ্তাহ হবে। পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
মহাপরিচালক বলেন, লকডাউনে হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক ও নার্সের ছুটি স্থগিত করেছে অধিদপ্তর।
তিনি বলেন, ‘লকডাউনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক ও নার্সের ছুটি আপাতত স্থগিত থাকবে। আমাদের ডাক্তাররা গত এক বছর নিরলস চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। তারা সকলেই সেবা দিতে দিতে ক্লান্ত। এ অবস্থায় চাপ আরও বাড়তে থাকলে স্বাস্থ্যসেবা চালিয়ে যাওয়াই হবে বড় চ্যালেঞ্জ।’