সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনে যাচ্ছে সারাদেশ। এই খবর জানার পরই বাজারে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
পণ্য কিনছে অতিরিক্ত পরিমাণে। যা একটি পরিবার এক মাসেও শেষ করতে পারবে না। ক্রেতাদের এই অতিরিক্ত চাহিদার কারণে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন বিক্রেতারা।
শনিবার সন্ধ্যায় কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সাধারণ ক্রেতাদের সমাগম অন্য যেকোনো দিনের তুলনায় বেশি। বিশেষ করে নিত্যপণ্য ও মসলার দোকানে ক্রেতাদের ভিড়।
আড়তদাররা জানান, দুপুরের পর থেকে ক্রেতা বেড়েছে। পেঁয়াজ, রসুন, আলু, তেল এগুলো বেশি করে কিনে নিচ্ছেন তারা। একইসঙ্গে বিভিন্ন মসলাও বিক্রি হচ্ছে।
তবে ক্রেতারা অনেকে বলছেন, সরকার এক সপ্তাহের লকডাউন দিলেও সেটা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবার এক সপ্তাহ পরই শুরু হচ্ছে রমজান। লকডাউন ও রমজান মিলে একটু বেশি বাজার করা হচ্ছে।
পেঁয়াজের আড়ৎদার খলিলুর রহমান বলেন, ‘মানুষ আগে এক মাসের জন্য পাঁচ কেজি, ১০ কেজি করে নিত। এখন ১৫-২০ কেজি করে কিনছে। সকালে যে দামে বিক্রি করেছি, বিকেলে সেই দামে আমাদের পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। তাই সকালের তুলনায় কেজি প্রতি অন্তত দুই টাকা বেশি করে বিক্রি করছি।’
বাজার থেকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য কিনে মজুদ করার কারণে বাজারে পণ্য সরবরাহের ঘাটতি দেখা দেয়ার আশঙ্কা করছেন আড়তদার আবু সাঈদ। তিনি বলেন, ‘মানুষ যে হারে কিনতেছে, তাতে সরবরাহে টান পড়বে। দাম বেড়ে যাবে।’
একাধিক ক্রেতা জানান, মাসের প্রথম সপ্তাহ হওয়ায় পুরো মাসের বাজার করছেন। আবার লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়ার আশঙ্কায় অনেকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য কিনছেন।
গ্রিনরোডের বাসিন্দা আফরোজা আলম বলেন, ‘আমি মাসের শুরুতেই একসঙ্গে বাজার করি। আবার সামনে রোজা আসছে। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা আছে। যেজন্য একটু বেশি করে কিনছি। আর লকডাউন হয়ে গেলে বাসা থেকে বের হওয়া ঝামেলা, যানবাহন পাওয়া যাবে না। এজন্যই বেশি করে নিচ্ছি।’