নারীসহ স্থানীয়দের হাতে আটক হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে উদ্ধারে নারায়ণগঞ্জের রয়্যাল রিসোর্টে হামলা করেছে সংগঠনের কর্মীরা। তারা রিসোর্টটি ভাঙচুরও করেছে।
শনিবার দুপুরের পর নারায়ণগঞ্জের এই রিসোর্টটিতে যান মামুনুল। দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে।
বিভিন্ন ফেসবুক পেজে মামুনুলকে আটকে রেখে স্থানীয়দের প্রশ্ন করার সময় ফেসবুকে লাইভে যান সেখানে উপস্থিত বহুজন।
ক্রমাগত প্রশ্নের মুখে মামুনুল বলতে থাকেন, যে নারীকে নিয়ে তিনি ঘুরতে গিয়েছেন, তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী। দুই বছর আগে তাকে বিয়ে করেছেন শরিয়ত মেনে।
খবর পেয়ে পুলিশের স্থানীয় কর্মকর্তারাও রিসোর্টে গিয়ে কথা বলেন মামুনুলের সঙ্গে।
মামুনুল হককে আটকের পর তার সমর্থকরা দল বেঁধে রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালায়
হেফাজত নেতা জানান, তিনি যে সেখানে গিয়েছেন, সেটি নিয়ে স্থানীয় আলেমদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেননি। তিনি যেখানেই যান, সেখানেই ভিড় হয়। তারা কাউকে না জানিয়েই রিসোর্টটিতে যান তিনি।
এই নারীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করছেন হেফাজত নেতা মামুনুল হক
ফেসবুক লাইভের পর তোলপাড় হওয়ার পর হেফাজতের স্থানীয় কর্মীরা মিছিল নিয়ে রিসোর্টের দিকে রওয়ানা হন। তারাও ফেসবুকে লাইভ করে আগ্রহীদেরকে সেখানে যাওয়ার আহ্বান জানান।
স্থানীয়দের প্রশ্নের মুখে মামুনুল হক
সন্ধ্যার পর রিসোর্টের জানলায় ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে হামলাকারীরা। ফটক ও ভেতরের আসবাবপত্রও ভাঙচুর করে তারা।
পরে তার সমর্থকরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে গাড়ি ভাঙচুর করতে শুরু করে। পরে মামুনুলকে ছিনিয়ে পাশের একটি মসজিদে নিয়ে যাওয়া হয়।