কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে আবার এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার। এ প্রেক্ষাপটে আদালতের কার্যক্রম চলবে নাকি বন্ধ থাকবে সে বিষয়ে শনিবার পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, রোববার এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
এ বিষয়ে শনিবার দুপুরে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র সাইফুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লকডাউনে আদালতের কার্যক্রম কীভাবে চলবে বা কী হবে সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। রোববার কোর্ট খোলা আছে। হয়তো সেদিন প্রধান বিচারপতি কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন। এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আসামাত্রই গণমাধ্যমকে জানিয়ে দেব।’
সোমবার থেকে সপ্তাহব্যাপী লকডাউন দিতে যাচ্ছে সরকার। এই অবস্থায় আদালতের কার্যক্রম কীভাবে চলবে, তা নিয়ে আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে আইনজীবীসহ বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লকডাউনে কোর্টের কাজ কীভাবে চলবে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানি না। সমিতির পক্ষ থেকে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
সার্বিক অবস্থা দেখে কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
সারা দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত বছর ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। সে সময় দেশের সব আদালতেও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
এরপর গত বছরের ৯ মে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করেন রাষ্ট্রপতি। এরপর ১১ মে থেকে ভার্চুয়ালি আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।
এরপর আইনজীবীদের বিভিন্ন দাবির পর ওই বছরের ১০ আগস্ট থেকে ভার্চুয়াল এবং শারীরিক উপস্থিতি দুইভাবেই হাইকোর্টের পৃথক বেঞ্চ গঠন করে দেন প্রধান বিচারপতি। তারপর থেকে দুইভাবেই উচ্চ আদালত পরিচালিত হয়ে আসছে।
শনিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে হাইকোর্ট বেঞ্চের তালিকা খুঁজে দেখা যায়, ৫৪টি বেঞ্চের মধ্যে ৩৮টি বেঞ্চ ভার্চুয়ালি এবং ১৬টি বেঞ্চ শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।
এ ছাড়া আপিল বিভাগের দুটি বেঞ্চ এবং চেম্বার আদালত ভার্চুয়ালি পরিচালিত হয়ে আসছে।