লকডাউন কার্যকর হওয়ার পর থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। শনিবার এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
নিউজবাংলাকে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের লকডাউন ঘোষণায় যেহেতু গণপরিহন বন্ধের কথা বলা আছে তাই যাত্রীবাহী রেলসেবা বন্ধ থাকবে। তবে সরকার চাইলে পণ্যবাহী রেলসেবা চালু থাকবে। সরকার যদি লকডাউন আরও বাড়িয়ে দেয় তাহলে এভাবেই চলতে থাকবে।’
শনিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, আগামী সোমবার থেকে দেশে এক সপ্তাহের লকডাউন চলবে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ওবায়দুল কাদেরের পাশাপাশি লকডাউন দেয়ার কথা জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘দ্রুত বেড়ে যাওয়া করোনার সংক্রমণ রোধ করার স্বার্থে সরকার দু-তিন দিনের মধ্যেই সারাদেশে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে এক সপ্তাহের জন্য।
‘লকডাউন চলাকালে শুধু জরুরি সেবা দেয়, সে ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকবে। আর শিল্প-কলকারখানা খোলা থাকবে। যাতে করে শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং বিভিন্ন শিফটিং এর মাধ্যমে তারা কলকারখানায় কাজ করতে পারেন।’
গত বছরের মার্চে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পরও বাংলাদেশ লডকাউনের পথে হাঁটেনি। তবে ২৬ মার্চ থেকে ৩১ এপ্রিল পর্যন্ত ধাপে ধাপে দেয়া হয় সাধারণ ছুটি।
এর মধ্যে লম্বা একটা সময় করোনা নিয়ন্ত্রণ থাকলে গরম শুরুর পর থেকেই দেশে ক্রমেই বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাস্কপরা বাধ্যতামূলক এবং জনসমাগমে বিধিনিষেধ টেনে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করে সরকার। গণপরিবহনগুলোতে যাত্রী কম বসানোর নির্দেশনা দিয়ে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে ৬০ শতাংশ। ভাড়া বাড়ানো হয়েছে লঞ্চেও।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরও ৫ হাজার ৬৮৩ জনের শরীরে। আর আক্রান্তদের মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের।
দেশে এ পর্যন্ত করোনারোগী শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৩০ হাজার ২৭৭ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ২১৩ জনের।