করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে সব ধরনের দোকানপাট বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান এ নির্দেশ দেন। তবে ওষুধের দোকান ও কাঁচাবাজার এই নির্দেশনার বাইরে থাকবে।
করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
তিনি বলেন, আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে চট্টগ্রামের সব রেস্তোরাঁ, শপিং সেন্টার, বিপণিকেন্দ্র বন্ধ রাখতে হবে। শুধু ওষুধের দোকান ও কাঁচাবাজার খোলা থাকবে।
নির্দেশ অমান্য করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার পর্যন্ত চট্টগ্রামে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ৪০ হাজার ৮০১ জন। তাদের মধ্যে ৩২ হাজার ৪৯৮ জন নগরীর। বাকি ৮ হাজার ৩০৩ জন জেলার ১৫টি উপজেলার বাসিন্দা।
এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫৩৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৫১৮ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ২০ শতাংশের বেশি।
চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৮৯ জন।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, করোনা রোগীদের জন্য চট্টগ্রামের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ৩০টি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৫০টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে।
করোনা চিকিৎসায় সাধারণ বেডের সংখ্যা সরকারি হাসপাতালে ৭৫০টি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৫৫০টি। এ ছাড়া মুমূর্ষু রোগীদের জন্য হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা অত্যন্ত জরুরি।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৮০টি, জেনারেল হাসপাতালে ৩০টি, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে ১০টি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রায় ১০০টি হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) করোনাবিষয়ক কমিটির চট্টগ্রাম অঞ্চলের সমন্বয়ক আ ম ম মিনহাজুর রহমান বলেন, চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) একটি শয্যাও খালি নেই। কোনো রোগী মারা যাওয়ার পরই কেবল শয্যা খালি হচ্ছে।