বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘রাইড শেয়ার বন্ধ হলে খাব কী?’

  •    
  • ১ এপ্রিল, ২০২১ ২০:২৭

‘আমরা যারা রাইড শেয়ার করি, এর মধ্যে ৯৯ শতাংশ শিক্ষিত যুবক। করোনার কারণে কারও চাকরি চলে গেছে, কারও ব্যবসা ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন আমরা বাইক রাইড শেয়ার করে পেট চালাই। যদি আমাদের রাইড শেয়ার বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে আমরা খাব কী?

যাত্রী বহনে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহন করা বাইকাররা দুই দিন পর আবার রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগ, খিলক্ষেত, প্রেস ক্লাব, কারওয়ান বাজার, ধানমণ্ডি-২৭ সহ বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় বাইক রাইডাররা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। তাদের দাবি, করোনা পরিস্থিতিতে বাইকের রাইড শেয়ারিং সেবা চালু থাকতে হবে।

আগের দিন এক আদেশে ১৪ দিনের জন্য বাইকে আরোহী নিষেধাজ্ঞা দেয় বিআরটিএ। জানানো হয়, কেবল স্বজনদের নিয়ে চলা যাবে বাইকে।

এই যারা বাইকে যাত্রী টেনে সংসার চালান, তাদের জন্য এই সিদ্ধান্ত দুশ্চিন্তা তৈরি করেছে।

শাহবাগে অবরোধের সময় বাইক রাইডার সাব্বির বলেন, ‘আমরা যারা রাইড শেয়ার করি, এর মধ্যে ৯৯ শতাংশ শিক্ষিত যুবক। করোনার কারণে কারও চাকরি চলে গেছে, কারও ব্যবসা ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন আমরা বাইক রাইড শেয়ার করে পেট চালাই। যদি আমাদের রাইড শেয়ার বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে আমরা খাব কী?

তিনি বলেন, ‘আজ আমি কাজ না করলে কাল আমার চুলায় আগুন জ্বলবে না। ১৪ দিন সরকার রাইড শেয়ার বন্ধ করতে বলেছে। আমাদের জীবিকার সন্ধান না দিয়ে সরকার এভাবে রাইড শেয়ার বন্ধ করতে পারে না। আমরা রাইড শেয়ারের দাবিতে আজ রাস্তায় নেমেছি।’

রাজধানীর শনির আখড়া এলাকায় অ্যাপের বাইকাররা একজোট হয়ে আসছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের দিকে

এই এলাকায় বাইকাররা দুই দফায় আধা ঘণ্টার মতো সড়ক অবরোধ করেন।

সাব্বির জানান, পুলিশের কর্মকর্তারা তাদের কাছ থেকে দুই দিন সময় চেয়েছেন। তাই তারা আপাতত সড়ক ছেড়ে ঘরে ফিরেছেন।

‘পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা বলেছেন ৪৮ ঘণ্টা সময় দেয়ার জন্য। ৪৮ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে যদি রাইড শেয়ার খুলে না দেয়া হয়, তবে আগামী রোববার সকাল ১০টায় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগ জড়ো হব’-বলেন সাব্বির।

তবে এই এলাকাটি ঢাকা মহানগর পুলিশের যে বিভাগে পড়েছে, সেই রমনা অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার ফয়েজুর রহমান নিউজবাংলাকে কোনো ধরনের সমঝোতার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘বাইকাররা তাদের অবস্থান আমাদের বুঝিয়েছেন। আমরা তাদের বুঝিয়েছি যে, এটা তো সরকারি নির্দেশনা। কোভিড পরিস্থিতি যা যাচ্ছে তাতে আপনারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বরং সহযোগিতা করলে কয়েক দিনের মধ্যে যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়, তখন আবার শুরু করবেন। তখন তারা এটা মেনে নিয়েছেন।’

বাইকাররা সেভাবে রাস্তা আটকে রাখেননি জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘শাহবাগ, প্রেস ক্লাব কোথাও রাস্তা একেবারে ব্লক করে নাই। তারাও পরিস্থিতি বোঝে। তারা তাদের অবস্থাটা সরকারকে জানাতে চায়। আমরাও তাদের সহযোগিতা করেছি বিষয়টা সরকারকে জানাতে। আর আমাদের কাজ হলো সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা।’

৪৮ ঘণ্টা আল্টিমেটামের বিষয় জানতে চাইলে এডিসি বলেন, ‘না তারা আমাদের ৪৮ ঘণ্টা কর্মসূচির বিষয়ে কিছু বলেন নাই।’

এ বিভাগের আরো খবর