দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দ্রুত বইমেলা, সামাজিক অনুষ্ঠান, বিনোদন কেন্দ্রসহ যেকোনো ধরনের মেলা বন্ধ করার সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিতে সম্প্রতি যে ১৮ দফা নির্দেশনা দেয় তা যথাযথ বাস্তবায়নে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশও করেছে পরামর্শক কমিটি।
কমিটির সভায় এসব সুপারিশ অনুমোদিত হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সংক্রমণ প্রতিরোধে অবিলম্বে সামাজিক অনুষ্ঠান, বিনোদন কেন্দ্র, বইমেলা ও অন্যান্য মেলা বন্ধ করা দরকার। ’
একই সঙ্গে গণপরিবহনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরার বিষয়ে ইতিমধ্যে যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, সেসব যাতে পালন করা হয়, তার ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে, তাতে হাসপাতালগুলোতে করোনা শয্যা বাড়ানো প্রয়োজন। সেই অনুযায়ী আইসিইউতে শয্যা বাড়ানো দরকার। ঢাকার বাইরে হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা বাড়িয়ে সেখানে স্থানীয়দের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
করোনার নমুনা পরীক্ষা যাতে সহজে করা যেতে পারে সেজন্য পরীক্ষার কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন। আগামী দিনগুলোতে নমুনা পরীক্ষার চাহিদা বাড়তে পারে, সেটি মাথায় রেখে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি প্রয়োজন।
এতে আরও বলা হয় ‘সংক্রমণ প্রতিরোধে দ্রুত সামাজিক অনুষ্ঠান, বিনোদন কেন্দ্র, বইমেলা ও অন্যান্য মেলা বন্ধ করা প্রয়োজন। পরিবহনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক পরা সম্পর্কে ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সব নির্দেশনা যাতে পালন করা হয় তার ব্যবস্থা নিতে হবে। ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে দিকনির্দেশনা নেয়া যেতে পারে। ’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টিকা নেয়ার পরেও পর্যবেক্ষণে থাকা ভালো। বর্তমান পরিস্থিতিতে ভাইরাসের গতি-প্রকৃতি বোঝার জন্য জেনেটিক সিকোয়েন্সিং করা দরকার। এ জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও আর্থিক সংস্থাপনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।