বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ধৈর্য ধরতে হবে: বাস সংকট নিয়ে কাদের

  •    
  • ১ এপ্রিল, ২০২১ ১৯:১৩

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ায় গত সোমবার সরকার জনসমাগম সীমিত করে ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছে । এর মধ্যে অন্যতম হলো অফিস ও গণপরিবহনে ৫০ শতাংশ উপস্থিতি। তবে সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলো এখনও আগের মতোই চলছে। তবে গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী বহনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর অফিস সময়ে বাসে উঠতে না পেরে দুই দিন ধরে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ।

করোনা রোগী বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাসে অর্ধেক যাত্রী বহনের নির্দেশকে কেন্দ্র করে জনভোগান্তি, বিক্ষোভের যে পরিস্থিতিতে জনগণকে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

জনস্বার্থেই অর্ধেক আসন খালি রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এ পরিস্থিতিতে অস্থিরতা প্রদর্শন না করে নিজেদের সুরক্ষার স্বার্থে অর্ধেক আসন খালি রেখে চলাচলের সিদ্ধান্ত মেনে চলার জন্য সকলকে ধৈর্য ধরতে হবে।

‘গণপরিবহন যেন নতুন করে করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্র হিসেবে বিস্তৃতি ঘটাতে না পারে সেদিকে সকলের নজর রাখতে হবে।’

বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ায় গত সোমবার সরকার জনসমাগম সীমিত করে ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো অফিস ও গণপরিবহনে ৫০ শতাংশ উপস্থিতি।

তবে সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলো এখনও আগের মতোই চলছে। তবে গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী বহনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর অফিস সময়ে বাসে উঠতে না পেরে দুই দিন ধরে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ।

দ্বিতীয় দিন সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভও করেছেন অফিসগামীরা। রাস্তা আটকে প্রতিবাদ জানিয়েছেন অ্যাপের বাইকচালকরাও, যাদের যাত্রী বহনে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

অ্যাপের বাইকে যাত্রী বহনে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সড়ক আটকে বিক্ষোভ করেন বাইকাররা

গত বছরের মার্চে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর সাধারণ ছুটি শেষে যখন গণপরিবহন চালু করা হয়, তখন দুই আসনে একজন যাত্রী তোলার নিয়ম করে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হয়।

এবারও একই পরিমাণ ভাড়া বাড়ানোর পরও ভোগান্তি বাড়ার কারণ হচ্ছে আগের চেয়ে বেশি মানুষ এখন যাতায়াত করে। আর অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার পরেও প্রায়ই প্রতি আসনে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। কখনও কখনও দাঁড়িয়েও যাচ্ছেন যাত্রীরা। নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগও উঠেছে।

এসব অনিয়ম জেনেছেন সড়কমন্ত্রীও। তিনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের চলমান প্রেক্ষাপটে জনস্বার্থে শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহনের ভাড়া সমন্বয় করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে অনেকে সরকারি নির্দেশনা মেনে চললেও আবার অনেকেই মানছে না। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করারও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।’

প্রতি দুই আসনে একজন যাত্রী উঠার কথা থাকলেও সে নির্দেশনা না মানার অভিযোগ উঠছে অহরহ

সরকার এ বিষয়ে কী করবে- সেটি জানিয়ে কাদের বলেন, ‘অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারী এবং নির্দেশনা প্রতিপালনে ব্যর্থ পরিবহনের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিআরটিএ এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে রাষ্ট্রবিরোধিতায় বিএনপি

ব্রিফিংয়ে বিএনপি নেতাদেরও কঠোর সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। বলেন, ‘দেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রায় নিজেদের সম্পৃক্ত না করে অবিরাম মিথ্যাচার আর চলার পথে বাধা সৃষ্টির অপকৌশল গ্রহণ করেছে বিএনপি।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি শেখ হাসিনা সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে রাষ্ট্রের বিরোধিতা করছে। নানা ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবিলা করে শেখ হাসিনা সরকার দেশের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, এ ধারাকে আরও অর্থবহ করতে প্রয়োজন সকলের সম্মিলিত প্রয়াস। কিন্তু বিএনপি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার প্রতিটি পদক্ষেপ তাদের স্বভাবজাত নেতিবাচক রাজনীতি দিয়ে বিনষ্ট করছে।’

কাদের বলেন, ‘মিথ্যাবাদী রাখালের মতো বিএনপির কথা জনগণ এখন আর বিশ্বাস করে না। সরকার নাকি জুলুম করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব। প্রকৃতপক্ষে সরকার নয়, আন্দোলনের নামে বিএনপিই মানুষের প্রাণ এবং সম্পদহানি ঘটিয়ে জুলুম- অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর