বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুক্তরাজ্যে ফ্লাইট কেন, ব্যাখ্যা দিল বেবিচক

  •    
  • ১ এপ্রিল, ২০২১ ১৬:৪১

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যে ডাটা এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ইউরোপের ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর তালিকা থেকে যুক্তরাজ্য বেরিয়ে এসেছে। যেহেতু ইউকে থেকে ঝুঁকি সরে গেছে, এই কারণে এখন আর বাধা নেই।

ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় যুক্তরাজ্যে কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় দেশটির সাথে ফ্লাইট চলাচল চালু রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান। দুপুরে কুর্মিটোলায় বেবিচক কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানান তিনি।

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে এখন কোভিড পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। এ কারণে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার যে সতর্কতা ছিল তাও কমানো হয়েছে। এই বিবেচনায় আমরা ইউকেকে বাদ দিয়েছি।

‘যেহেতু ইউকের কন্ডিশন ভালো, তাই সেখান থেকে যে যাত্রীরা আসবেন তারা হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। গত বছরের শেষের দিকে যেমন প্রশাসনের মাধ্যমে এশিওর করা হয়েছিল, এবারও তেমনটাই হবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পাসপোর্টও রেখে দেয়া হবে যাতে করে তারা বাসার বাহিরে না যান।’

তিনি বলেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যে ডাটা এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ইউরোপের ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর তালিকা থেকে ইউকে বেরিয়ে এসেছে। যেহেতু ইউকে থেকে ঝুঁকি সরে গেছে, এই কারণে এখন আর বাধা নেই।

‘আর এখানে আমাদের দেশেরও কিছু স্বার্থ আছে, সেখানে অনেক বাংলাদেশি থাকেন। তাই আননেসেসারি কোনো রেসট্রিকশন দেয়া ঠিক হবে না।’

যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপের কোনো দেশ থেকেই সরাসরি বাংলাদেশে আসা যাবে না বলে সকালেই একটি সার্কুলার জারি করে বেবিচক। বিশ্বের আরও ১২টি দেশ থেকেও কেউ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবে না।

বেবিচকের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশনস বিভাগের সদস্য চৌধুরী এম জিয়াউল কবিরের সই করা বেবিচকের বৃহস্পতিবারের সার্কুলারে এ নির্দেশ দেয়া হয়।

ইউরোপের দেশ ছাড়া বাংলাদেশে আসা যাবে না আর্জেন্টিনা, বাহরাইন, ব্রাজিল, চিলি, জর্ডান, কুয়েত, লেবানন, পেরু, কাতার, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক ও উরুগুয়ে থেকে।

৩ এপ্রিল, শনিবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে সার্কুলারে। ১৮ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।

বেবিচক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাকি যারা বিভিন্ন দেশ থেকে আসবেন তাদের ক্ষেত্রেও আমাদের সতর্ক হতে হবে। এখানে বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে প্রবেশ করার পর তাদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। প্রশাসনের মাধ্যমে তাদের তদরকি করা হবে যাতে কারও করোনা ঝুঁকিটা বেড়ে না যায়।’

‘কিন্তু ইউরোপের অনেকগুলো দেশ, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাসহ ল্যাটিন আমেরিকার অনেকগুলো দেশ আছে সেসব দেশে সংক্রমণের হার অনেক বেশি। এসব দেশ থেকে আপাতত আমরা আগমন বন্ধ করেছি। প্রায় ৩০টির মতো দেশ থেকে আপাতত বাংলাদেশে প্রবেশ করা যাবে না।’

নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশগুলোতে ট্রানজিট নিয়ে যারা দেশে আসবেন, তাদের জন্যও কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান বেবিচক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশগুলোতে ট্রানজিট নিয়ে যারা আসবেন, এ ক্ষেত্রে ট্রানজিট মানে হয়তো সেখানে গেছেন এক দিন থেকে ফিরেছেন, তাদের ক্ষেত্রেও আমাদের বিশেষ নজর থাকবে।

‘এদের জন্য নির্দেশনা হলো, তারা আসার পরে হোটেলে বা কোয়ারেন্টিনের জন্য সরকারি যে ফেসিলিটিস আছে, সেখানে চার দিন থাকতে হবে। এরপর তাদের পিসিআর টেস্ট হবে। সেখানে ফল নেগেটিভ আসলে তারা বাকি দিনগুলোর জন্য হোম কোয়ারেন্টিনে যাবেন। এখন যে অবস্থা, দেশে আসতে হলে পিসিআর টেস্ট করতেই হবে। কেউ ভ্যাকসিন নিলেও কোনো লাভ হবে না।’

বাস, ট্রেন বা অন্য গণপরিবহনের মতো এখনই ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা আকাশপথে দেয়া হচ্ছে না বলেও নিশ্চিত করেন তিনি। বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘উড়োজাহাজে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রেও আমরা কিছু পরিবর্তন এনেছি। গত পরশু থেকে এটা কার্যকর হয়েছে।

‘কোনো প্রশস্ত উড়োজাহাজে ২৬০ জনের বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। এ ছাড়া এয়ারলাইনসগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তারা যেন বিমানবন্দরে বা এয়ারক্রাফটে যাত্রীদের সোশ্যাল ডিস্টেন্সিংটা নিশ্চিত করেন।’

তিনি বলেন, ‘যে উড়োজাহাজে এক লাইনে ৩টি আসন রয়েছে, মাঝে যিনি বসবেন তাকে বাধ্যতামূলক ফেসসিল্ড পরতে হবে। সেই যাত্রী যদি আনকমফরটেবল ফিল করেন তাহলে তাকে পিপিইও দিতে হবে। বিমানবন্দরেও স্থানের সংকট আছে। এ জন্য আমরা স্পেশাল ফ্লাইট বন্ধ করে দেব। যদি দেখি যে অবস্থার অবনতি হচ্ছে, তাহলে প্রয়োজনে ফ্লাইটও বাতিল করে দেব। কিছু ফ্লাইট আমরা কমিয়ে দেব।’

এখনই অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটগুলোতে যাত্রীসংখ্যা কমানো হচ্ছে না বলেও জানান তিনি। মফিদুর রহমান বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলোতে এখনও আমরা যাত্রীসংখ্যা কমাচ্ছি না। এর কারণ স্বাস্থ্যবিধি প্রত্যেকটা ফ্লাইটেই নিশ্চিত করা হচ্ছে। আমরা প্রত্যেকটি এয়ারলাইনসের সঙ্গে আলোচনা করেছি, তারা আমাদের স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

‘এ ক্ষেত্রে আমি মনে করি যেকোনো পরিবহনে ভ্রমণ করার চেয়ে বিমানে ভ্রমণ এখন অনেক নিরাপদ। কারণ যে ব্যবস্থাপনাগুলো এখানে নেয়া হয়, তাতে ভ্রমণ অনেক নিরাপদ হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর