করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় জনগণকে আবারও সতর্ক করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অযথা বাইরে ঘোরাঘুরি না করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনের শুরুতে আনা শোক প্রস্তাবের ওপর বৃহস্পতিবার দুপুরে বক্তব্য দেয়ার সময় সরকারপ্রধান এ আহ্বান জানান।
এ সময় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে জনগণের সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বুধবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন রেকর্ডসংখ্যক ৫ হাজার ৩৫৮ জন। মারা গেছেন ৫২ জন।
এর মধ্য দিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৯ হাজার পার হয়ে গেছে। শনাক্তের সংখ্যা ৬ লাখ ছাড়িয়েছে।
এমন বাস্তবতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বিয়েশাদির অনুষ্ঠান না করা, জনসমাগম যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা, পর্যটনে না গিয়ে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছিল। অর্থনীতি ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু আবার বিশ্বব্যাপী প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশেও কিছুদিন ধরে দ্রুত সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকে হয়তো মনে করছেন, যেহেতু টিকা নিয়েছেন, আর কিছু হবে না। স্বাস্থ্যবিধি মানা বন্ধ হয়েছে।
‘যত বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে, সেখানে অনেকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যারা পর্যটনে গেছেন, সেখানেও আক্রান্ত হয়েছেন। প্রথমে যেভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল, সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ইতিমধ্যে কিছু নির্দেশনা দিয়েছি।’
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের ১৮ দফার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আবার ধীরে ধীরে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার চেষ্টা করছে। সে জন্য জনগণের সহায়তা দরকার।
সব সময় মাস্ক পরা, গরম পানির ভাপ নেয়া ও নাকে সরিষার তেল দেয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা অনেকের কাছে গ্রাম্য মনে হলেও আমি এটা করি। আমার দাদি আমাদের গোসলের সময় নাকে, কানে ও নাভিতে সরিষার তেল দিয়ে দিতেন।’