বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার অ্যাপে চলা বাইক নিয়ে অবরোধে চালকরা

  •    
  • ১ এপ্রিল, ২০২১ ১২:৩৮

বিক্ষোভকারীদের দাবি, সরকার রাইড শেয়ারিং বন্ধের যে নির্দেশনা দিয়েছে, তা প্রত্যাহার করে নিতে হবে। 

রাইড শেয়ারিং সেবা বন্ধের প্রতিবাদে রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বর, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, প্রেস ক্লাব, বাড্ডা ইউলুপসহ কয়েকটি এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে মোটরসাইকেল চালকরা।

সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কারওয়ান বাজারে বিক্ষোভ শুরু হয়। কাছাকাছি সময়ে ধানমন্ডিসহ অন্যান্য এলাকার রাইডাররা বিক্ষোভ করেন।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, সরকার রাইড শেয়ারিং বন্ধের যে নির্দেশনা দিয়েছে, তা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে বাসে অর্ধেক যাত্রী নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এতে সিট কমে যাওয়ায় অনেক যাত্রী বাসে উঠতে পারছেন না। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার খিলক্ষেতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন যাত্রীরা।

সে বিক্ষোভের রেশ না কাটতেই বাইক নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন অ্যাপে মোটরসাইকেল চালানো ব্যক্তিরা।

কারওয়ান বাজার

তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, কারওয়ান বাজারের সোনারগাঁও ক্রসিংয়ে বাইক রাইডাররা রাস্তা অবরোধ করে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারা সেখান থেকে প্রেস ক্লাবের দিকে চলে গেছে।

তিনি বলেন, ‘সরকার বাইক শেয়ারিং আপাতত বন্ধের যে নির্দেশনা দিয়েছে তার প্রতিবাদে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। আমরা ওদের সরিয়ে দিয়েছি অলরেডি। তারা প্রেস ক্লাবের দিকে গিয়েছে।

‘সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পাঁচ-১০ মিনিটের জন্য তারা দাঁড়িয়ে ছিল।’

ধানমন্ডি

ধানমন্ডি-২৭ নম্বর মোড়ে একটি প্রাইভেট হাসপাতালের সিকিউরিটি গার্ড মো. আমিন। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গা থেকে বাইকাররা এসে ধানমন্ডি-২৭-এর মোড়ে জড়ো হয়। তারা জড়ো হয়ে দুই থেকে তিন মিনিট রাস্তা আটকে ছিল। পরে সবাই একসাথে মিরপুর রোডের দিকে চলে যায়।’

এ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বাইকারদের কোনো ঝামেলা হয়নি। যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।

শাহবাগ

ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মং মং বাতেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শাহবাগে প্রায় ১০০ বাইকার দুই দফায় এসে রাস্তা অবরোধ করে। প্রথমবার সকাল ১১টার দিকে। দ্বিতীয়বার দুপুর ১২টার দিকে। প্রথমবার ১০ থেকে ১৫ মিনিট এবং পরেরবার প্রায় ২০ মিনিট রাস্তা অবরোধ করে রাখে।

‘প্রথমবার এসে চলে গেলেও পরেরবার পুলিশের সাথে কথা হয় তাদের। পুলিশের অনুরোধে তারা রাস্তা ছেড়ে দেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশের সাথে কোনো ঝামেলা হয় নাই বাইকারদের। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক আছে। তবে একটু জ্যাম আছে।’

বাড্ডা

মধ্যবাড্ডার ইউলুপের সামনে রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের চালক শুক্কুর চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাইড শেয়ার করতে দিচ্ছে না পুলিশ; মামলা দিচ্ছে।

‘আমাদের দাবি, সরকার এটা প্রত্যাহার করে নিক। সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা কাজ করতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রাস্তা বন্ধ করেছি। কারণ গণপরিবহণ চলছে। কিন্তু আমাদের চলতে দিচ্ছে না, তাই।’

মধ্যবাড্ডা ইউলুপের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিলেন রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও ও উবারের চালক ফরহাদ হোসেন। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সবাই রাইড শেয়ার করি। করোনার কারণে সরকারিভাবে বলেছে যে, রাইড শেয়ার বন্ধ। আজকে আমরা সকালে বের হওয়ার পরে দেখি রাইড শেয়ার বন্ধ।’

তিনি বলেন, ‘এই রাইড শেয়ার করেই আমাদের ৮০ ভাগ মানুষের সংসার চলে। আমরা গরিব মানুষ। দিনে রোজগার করি, দিনে খাই। এখন হুট করে যদি এটা বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আমরা কী করে খাব।’

ফরহাদ আরও বলেন, ‘পুলিশের সার্জেন্ট আমাদেরকে মামলা দিচ্ছে, বাইকের চাবি নিয়ে নিচ্ছে, ২ থেকে ৩ হাজার টাকার মামলা দিচ্ছে। এই হয়রানির বিরুদ্ধে আমরা সড়ক অবরোধ করেছি। এই হয়রানিটা যেন বন্ধ করা হয়।’

এ বিষয়ে দায়িত্বরত পুলিশের এসআই আশরাফুল আলম বলেন, ‘তারা সড়ক বন্ধ করেছিল। ওদের বুঝিয়ে আমরা সড়কের অবরোধ উঠিয়ে দিয়েছি।’

কী আছে বিআরটিএর নিষেধাজ্ঞা

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ বেড়ে চলার পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাপে চালানো রাইড শেয়ারিংয়ের মোটর সাইকেলে যাত্রী বহন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ। আপাতত দুই সপ্তাহের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বাস, লঞ্চ, ট্রেনসহ সব গণপরিবহনে প্রতি দুই আসনে একজন যাত্রী বহনের নির্দেশের দুই দিন পর মোটর সাইকেলে যাত্রী বহনের এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় বুধবার। এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশও দিয়েছে সরকারের সংস্থাটি।

অফিসে আদেশে বলা হয়েছে, ‘করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার যে ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছে সেটা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী দুই সপ্তাহ মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।’

নিউজবাংলাকে বিআরটিএ পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) সরওয়ার আলম বলেন, ‘আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেহেতু ৫০ ভাগ যাত্রী নেয়ার কথা বলা হয়েছে, সেখানে মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিংয়ে একজনকে বোঝানো হয়। করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

অ্যাপের বাইকে যাত্রী বহন বন্ধ হলেও ব্যক্তিগত বাইকে পরিবারের সদস্যদের বহন করা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিআরটিএ পরিচালক বলেন, ‘যে যার মোটরসাইকেলে ব্যবহার করতে পারবেন। একই পরিবারের সদস্য যেমন স্বামী-স্ত্রী, ভাই-বোন হলেও এক মোটরসাইকেলে যাওয়া যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর