দেশে দ্বৈত নাগরিক ও দ্বৈত পাসপোর্টধারীর সংখ্যা ১৩ হাজার ৯৩১ জন।
অর্থপাচার ঠেকাতে দ্বৈত নাগরিকত্ব ও দ্বৈত পাসপোর্টধারীদের তালিকা দাখিলে হাইকোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে পুলিশের বিশেষ শাখার (ইমিগ্রেশন) পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এ তথ্য।
বুধবার অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন ও তালিকাটি দাখিল করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
প্রতিবেদনটি হলফনামা আকারে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের (ইমিগ্রেশন) ডাটাবেজ অনুসারে দ্বৈত পাসপোর্ট ও নাগরিকত্বধারীদের মধ্যে বিদেশে নিয়মিত যাওয়া-আসা করা ব্যক্তির সংখ্যা ১৩ হাজার ৯৩১ জন। তবে বিদেশে তাদের অর্থপাচার বা বাড়ি তৈরির বিষয়ে ইমিগ্রেশন বিভাগের কাছে কোনো তথ্য নেই।
তালিকা অনুসারে বাংলাদেশের ১০ হাজার ৭৭৪ জন নাগরিকের যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে। তালিকার দ্বিতীয় শীর্ষে আছে ভারত; ৬১৭ জন বাংলাদেশির একইসঙ্গে ভারতীয় নাগরিকত্ব আছে। এরপর ৫৬৮ জন বাংলাদেশির ব্রিটিশ, ৩৮৯ জন বাংলাদেশির কানাডিয়ান, ২৩৮ জনের জার্মান, ১৭৮ জনের অস্ট্রেলিয়ান, ১৭৭ জনের চীনা, ১১৭ জনের ইতালির নাগরিকত্ব আছে।
এছাড়া ৬৬ জন বাংলাদেশি জাপানিজ, ৪১ জন দক্ষিণ কোরীয়, ৪০ জন ইন্দোনেশীয়, ৪০ জন ফিলিপিনো, ২১ জন ফরাসি, ২১ জন ফিনিশ, ২১ জন বেলজিয়ান, ১৫ জন হংকংয়ের, ১২ জন ডাচ, ১১ জন মিসরীয়, ১১ জন আইরিশ, নয়জন আফগান, সাতজন ইরানি, সাতজন ইরাকি, সাতজন অস্ট্রীয়, পাঁচজন ড্যানিশ, পাঁচজন অ্যান্টিগুয়ার, তিনজন ডমিনিকান, তিনজন গ্রিক ও তিনজন কেনীয় পাসপোর্ট বহন করছেন।
এ ছাড়া দুইজন করে বাংলাদেশির সাইপ্রাস, কিরগিজিস্তান, কুয়েত, বাহরাইন, ব্রুনাই, ভুটান, কম্বোডিয়া, ব্রাজিল, আলজেরিয়া ও বাহামা দ্বীপপুঞ্জের; এবং একজন করে বাংলাদেশির বারবাডিয়ান, বলিভিয়ার, বসনিয়ার, বুলগেরিয়ার, চিলির, জিবুতির, পূর্ব তিমুরের, ফারো দ্বীপপুঞ্জের, জর্ডানের ও উত্তর কোরিয়ার পাসপোর্ট আছে।
এ ছাড়া অন্যান্য দেশের নাগরিকদের মধ্যে আছেন লাটভিয়া, লিবিয়া, লুক্সেমবার্গ, ফিলিস্তিন, পেরু, কাতার, গ্রানাডা, তিমুর, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, ওয়ালেস ও ফুটুনার একজন করে; লেবানন, মরিশাস, মলডোভা, ফিলিপাইন, উজবেকিস্তান, ভেনিজুয়েলা ও জিম্বাবুয়ের দুইজন করে; নাইজেরিয়া, নরওয়ে, রোমানিয়া ও ইয়েমেনের তিনজন করে; মালি, পোল্যান্ড, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস ও ইউক্রেনের চারজন করে; ভিয়েতনাম ও মঙ্গোলিয়ার পাচঁজন করে; তাইওয়ান, পর্তুগাল ও উগান্ডার ছয়জন করে; মিয়ানমার, তানজানিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আটজন করে; সৌদি আরবের ১০ জন; স্পেনের ১১ জন; নিউজিল্যান্ডের ১২জন; মালদ্বীপ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ১৩ জন; তুরস্কের ১৫ জন; সোমালিয়ার ১৬ জন; সিঙ্গাপুরের ১৭ জন; নেপালের ২২ জন; সুইজারল্যান্ডের ২৩ জন; থাইল্যান্ডের ২৬ জন; শ্রীলঙ্কার ৫৭ জন; সুইডেনের ৫৯ জন; রাশিয়ার ৬৫ জন; মালয়েশিয়ার ৭৬ জন এবং পাকিস্তানের ১১৯ জন ব্যক্তি দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে বাংলাদেশে বসবাস করছেন।