শিশু শ্রমের অন্যতম কারণ হিসেবে অসমতাকে দায়ী করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। অসমতা দূর করে নারীদের মূলধারার অর্থনীতিতে যুক্ত করতে পারলে শিশু শ্রমও নিরসন হবে বলে মনে করেন তিনি।
গণস্বাক্ষরতা অভিযান এবং সিএসও অ্যালায়েন্সের ‘নো চাইল্ড লেবার: ফেয়ার সেয়ার টু অ্যান্ড এক্সপ্লয়টেসন’ শীর্ষক প্রচারের ভার্চুয়াল উদ্বোধনী আয়োজনে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন স্পিকার।
‘অসমতা শিশু শ্রমের একটি অন্যতম কারণ। অসমতা দূরীকরণে বৈশ্বিক প্রচেষ্টার প্রয়োজন। অসমতা দূরীকরণের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে মূল ধারার অর্থনীতিতে সম্পৃক্ত করতে হবে। অসমতা দূর করে নারীদের মূল ধারার অর্থনীতিতে সম্পৃক্ত করতে হবে। কারণ, মায়েরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হলে শিশু শ্রম নিরসন হয়ে আসবে।’
শিশু শ্রম বন্ধ হলে তাদের স্কুলমুখী করা সম্ভব হবে জানিয়ে স্পিকার বলেন, এজন্য সমাজের সকল স্তরের মানুষের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
দারিদ্র্য বিমোচন, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, বিদ্যমান আইনের সংশোধনের মাধ্যমে বৈশ্বিকভাবে শিশু শ্রম নিরসন সম্ভব বলেও জানান স্পিকার। পাশাপাশি গুরুত্বারোপ করেন শিশুদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপরও।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দারিদ্র্যের হার ২১ শতাংশে নেমে এসেছে জানিয়ে শিরীন শারমিন বলেন, বাংলাদেশে ২০২৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রম সম্পূর্ণ নিরসন হবে।
‘কেননা, বিদ্যমান আইনের সংশোধনসহ সার্বিকভাবে শিশুদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দরিদ্র শিশুদের বিদ্যালয়গামী করতে সরকার নিয়ত কাজ করছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি বাংলাদেশ শিশুশ্রমের অবসানের দিক থেকেও এগিয়ে আছে।’
গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ আয়োজনে আরও বক্তব্য রাখেন ছিলেন নোবেল বিজয়ী ভারতীয় অধিকার কর্মী কৈলাশ সত্যার্থী, সংসদ সদস্য আরোমা দত্ত, ফজলে হোসেন বাদশাহ, শিরিন আকতার ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম।
অনুষ্ঠানে অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি তমু হওজুমি, এমজেএফ এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর তুওমো পৌতিয়ানেন প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন।