বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে ঢাকা আসছেন জন কেরি

  •    
  • ৩১ মার্চ, ২০২১ ২১:০৭

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের সভাপতি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পদাধিকার বলে এই দায়িত্ব পালন করে থাকেন। আগামী ২২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে ক্লাইমেট ইস্যুতে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সেই সম্মেলনের দাওয়াত দিতে তিনি ঢাকায় আসছেন।’

জলবায়ু বিষয়ক একটি সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানাতে ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ু বিষয়ক উপদেষ্টা জন কেরি।

নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের সভাপতি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পদাধিকার বলে এই দায়িত্ব পালন করে থাকেন। আগামী ২২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে ক্লাইমেট ইস্যুতে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সেই সম্মেলনের দাওয়াত দিতে তিনি ঢাকায় আসছেন।’

৪০টি দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের অংশগ্রহণে সম্মেলনটি হবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে। এরপরও এতে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সশরীরেই আমন্ত্রণ পত্র নিয়ে আসছেন কেরি।

বিষয়টি গর্বের বলে উল্লেখ করেছেন পরররাষ্ট্র মন্ত্রী মোমেন। বলেন, ‘উনি না আসলেও পারতেন। কিন্তু উনি প্রধানমন্ত্রীকে গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। এতে আমরা খুবই গর্ব ফিল করছি। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসন জলবায়ু ইস্যুকে বড়ই গুরুত্ব দিচ্ছে।

‘বাইডেন শপথ নিয়েই জন কেরিকে তার জলবায়ু উপদেষ্টা নিয়োগ করেছেন। তিনি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্যারিস চুক্তি নিয়ে গভীরভাবে কাজ করেছেন। বলতে গেলে তার চেষ্টাতেই ২০১৫ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে জলবায়ু চুক্তি (প্যারিস এগ্রিমেন্ট) হয়েছিল।’

কেরির ঢাকায় আসার কথা আগামী ৯ এপ্রিল। যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ু বিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে আগে একাধিকবার কথা হয়েছে জানিয়ে মোমেন বলেন, ‘বাইডেন শপথের পরই কেরি আমাকে ফোন কল করেছিল। সেই সময় থেকেই তারা আমাদের সঙ্গে জলবায়ু ইস্যু নিয়ে কাজ করতে চায় বলে জানান।

‘এরপরও তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমার আমেরিকা সফরেও তার সঙ্গে এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা আমাদের সঙ্গে কাজ করতে বড়ই উদগ্রীব।’

কেরির সফরের সময় বাংলাদেশ প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেবে বলে জানালেন মোমেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বৈশ্বিক উষ্ণতা দেড় ডিগ্রিতে নামিয়ে আনার বিষয়ে জোর দেবো। একইসঙ্গে প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী উন্নত ও শিল্পন্নোত দেশগুলো জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোকে যে বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা বাস্তবায়নের জন্য চাপ দেবো।

‘সেই সঙ্গে ঢাকায় যে জলবায়ু কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, তার জন্য ফান্ড সংগ্রহ ও জলবায়ু ক্ষতি মোকাবিলায় তার সহায়তা চাওয়া হবে। তাকে বোঝানো হবে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনে কত ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছি এবং জলবায়ু পরিবর্তজনিত কারণে আমাদের নদী ভাঙনে বছরে কত মানুষ উদ্বাস্তু হচ্ছে।’

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভঙ্গুর দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবী আমাদের একমাত্র আবাসস্থল এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এটিকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। উন্নত বিশ্বের সম্পদ অপব্যবহারের কারণে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে তাদের উচিত এই বোঝার কিছু অংশ বহন করা।

‘উন্নত বিশ্বের শিল্পায়ন ও সম্পদ অপব্যবহারের কারণে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জলবায়ু পরিবর্তনে কোনো ধরনের প্রভাব না রাখার পরেও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ।’

৪০ বিশ্ব নেতাকে বাইডেনের আমন্ত্রণ

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে জলবায়ু বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন ‘লিডারস সামিট’ এ ৪০ জন বিশ্ব নেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

আগামী ২২ ও ২৩ এপ্রিল হবে এ সম্মেলন, আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র। অনলাইনে ভার্চুয়াল এই শীর্ষ সম্মেলনটি বিশ্ববাসীদের দেখার জন্য সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

সম্মেলনে যাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউন, অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা

রাষ্ট্রপতি আলবার্তো ফার্নান্দেজ, আর্জেন্টিনা

প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন, অস্ট্রেলিয়া

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং, ভূটান

রাষ্ট্রপতি জাইর বলসোনারো, ব্রাজিল

প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, কানাডা

রাষ্ট্রপতি সেবাস্তিয়ান পিনেরা, চিলি

রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং, গণপ্রজাতন্ত্রী চীন

রাষ্ট্রপতি ইভান ডিউক মার্কেজ, কলম্বিয়া

রাষ্ট্রপতি ফ্যালিক্স তিশিসেদী, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র

প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন, ডেনমার্ক

প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন, ইউরোপিয়ান কমিশন

প্রেসিডেন্ট চালর্স মিশেল, ইউরোপিয়ান কাউন্সিল

রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল মাখোঁ, ফ্রান্স

রাষ্ট্রপতি আলী বনগো অন্দিম্বা, গ্যাবন

চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, জার্মানি

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভারত

রাষ্ট্রপতি জোকো উইদোদো, ইন্দোনেশিয়া

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, ইসরাইল

প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাগি, ইতালি

প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হলনেস, জ্যামাইকা

প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা, জাপান

রাষ্ট্রপতি উহুরু কেনিয়াত্তা, কেনিয়া

রাষ্ট্রপতি ডেভিড কাবুয়া, মার্শাল আইল্যান্ড প্রজাতন্ত্র

রাষ্ট্রপতি আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদোর, মেক্সিকো

প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন, নিউজিল্যান্ড

রাষ্ট্রপতি মুহাম্মাদু বুহারি, নাইজেরিয়া

প্রধানমন্ত্রী ইরনা সোলবার্গ, নরওয়ে

রাষ্ট্রপতি অ্যান্ডাজেজ দুদা, পোল্যান্ড

রাষ্ট্রপতি মুন জে-ইন, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র

রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন, রাশিয়ান ফেডারেশন

বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ, সৌদি আরব

প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং, সিঙ্গাপুর

রাষ্ট্রপতি মাতামেলা সিরিল রামাফোসা, দক্ষিণ আফ্রিকা

প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ, স্পেন

রাষ্ট্রপতি রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান, তুরস্ক

রাষ্ট্রপতি শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, সংযুক্ত আরব আমিরাত

প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, যুক্তরাজ্য

রাষ্ট্রপতি নগুয়েন ফে তরং, ভিয়েতনাম

এ বিভাগের আরো খবর