বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা পরীক্ষায় জালিয়াতি: সাবরিনার বিরুদ্ধে আরও একজনে সাক্ষ্য

  •    
  • ৩১ মার্চ, ২০২১ ২০:২৮

সাক্ষ্য দেয়া উজ্জ্বল সরকার আদালতকে জানান, স্ত্রী-মেয়েসহ তিনজন জেকেজিতে করোনা পরীক্ষা করান। করোনা পরীক্ষার জন্য ১৫ হাজার টাকা দেয়া হয়। এই পরীক্ষা শেষে দুইজনেরই করোনা পজিটিভ আসে। পরবর্তীতে অন্য জায়গায় পরীক্ষা করা হলে সেখানে নেগেটিভ আসে।

করোনা পরীক্ষায় জালিয়াতির মামলায় জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ নয় জনের বিরুদ্ধে আরও একজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

বুধবার বিকেলে ঢাকার মুখ্যমহানগর আদালতের হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালতে উজ্জ্বল সরকার নামের এক প্রকৌশলী সাক্ষ্য দেন। তার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আগামী ২৭ এপ্রিল পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন রেখেছেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উজ্জ্বল সরকার আদালতকে জানান, স্ত্রী-মেয়েসহ তিনজন করোনা পরীক্ষা করান। করোনা পরীক্ষার জন্য ১৫ হাজার টাকা দেয়া হয়। এই পরীক্ষা শেষে দুইজনেরই করোনা পজিটিভ আসে। পরবর্তীতে অন্য জায়গায় পরীক্ষা করা হলে সেখানে নেগেটিভ আসে।

মামলাটিতে এ নিয়ে ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।

সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুল ছাড়া মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদ। বর্তমানে সবাই কারাগারে রয়েছেন।

গত ২০ আগস্ট একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। ২৭ আগস্ট বাদী কামাল হোসেনের জবানবন্দির মধ্য দিয়ে সাক্ষ্য শুরু হয়।

গত ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক লিয়াকত আলী। এতে জেকেজি হেলথ কেয়ারের কম্পিউটারে এক হাজার ৯৮৫টি ভুয়া রিপোর্ট ও ৩৪টি ভুয়া সার্টিফিকেট জব্দের কথা বলা হয়।

অভিযোগপত্রটি দেখার পর মট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার হায়াত তা বিচারের জন্য বদলির আদেশ দেন। এরপর বিচারের জন্য মামলাটি ঢাকার মট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে আসে।

করোনার ভুয়া প্রতিবেদন দেয়া জেকেজি হেলথ কেয়ারের কর্ণধার আরিফুল চৌধুরীর স্ত্রী ডা. সাবরিনা চৌধুরী জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক। মামলার পর ওই প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতিটি টেস্টের জন্য জনপ্রতি সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার টাকা নেয়া হতো। আর বিদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১০০ ডলার আদায় করা হতো।

গত ১২ জুলাই সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তেজগাঁও বিভাগীয় উপপুলিশ কার্যালয়ে আনা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন জেকেজির প্রতারণা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ডিসিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সদুত্তর দিতে না পারায় তাকে তেজগাঁও থানায় আগেই আরিফুলের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

গত ২৩ জুন করোনার ভুয়া সনদ দেয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে আরিফুলসহ ছয় জনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পর থানা-হাজতে থাকার সময় আরিফুলের ‘ক্যাডার বাহিনী’ থানায় হামলা ও ভাঙচুর করে বলেও পুলিশের অভিযোগ।

এ বিভাগের আরো খবর