চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূমি অফিসে হেফাজতের কর্মীদের আগুন দেয়ার ঘটনায় নথিপত্রের নিরাপত্তায় নতুন উদ্যোগ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
বিশেষ ধরনের এক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের পাশাপাশি ও আগুননিরোধক আলমারি স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
ঢাকার তেজগাঁওয়ের এফডিসি মিলনায়তনে ‘ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনায় জনসম্পৃক্ততা’ বিষয়ক এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
গত শুক্রবার ঢাকায় বায়তুল মোকাররমে সরকার সমর্থকদের সঙ্গে ধর্মভিত্তিক দলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের পর হাটহাজারীতে মসজিদ থেকে মিছিল নিয়ে গিয়ে হামলা হয় স্থানীয় ভূমি অফিসে। তারা ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেন।
রোববারের হরতালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের সমর্থকরা ছিলেন আরও বেশি আক্রমণাত্মক। জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়ে সেখানে আগুন দেয়া হয়। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনার মধ্যে অন্যতম স্থানীয় ভূমি অফিস।
সেখানে পেট্রল ঢেলে আগুনের কারণে পুড়ে যায় বহু মূল্যবান দলিল। এ কারণে যেসব জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ আছে, সেগুলো নিষ্পত্তি নিয়ে জটিলতা তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘রেকর্ডপত্র নষ্ট করে তারা ভূমি অফিসের আওতাভুক্ত এলাকার সাধারণ জনগণকে দীর্ঘমেয়াদি হয়রানির ও ক্ষতির সম্মুখীন করেছেন।
‘নজরদারি বাড়াতে আইপি ক্লোজড সার্কিট টিভি ক্যামেরা ও দলিলাদির নিরাপত্তায় অগ্নিনিরোধী আলমারি স্থাপন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।’
জনভোগান্তি কমাতে দ্রুত ছায়া রেকর্ডপত্র তৈরি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
ভূমি খাতকে দুর্নীতিমুক্ত করতে ‘সিস্টেমের’ টেকসই পরিবর্তন করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পটুয়াখালী ও বরগুনায় দ্রুত বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে- বিডিএস শুরু হবে। যা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করে পর্যায়ক্রমে সারা দেশে করা হবে।’
মন্ত্রী বলেন, সরকারি জমির অবৈধ দখলকে ‘দণ্ডনীয় ফৌজদারি অপরাধ’ হিসেবে গণ্য করে শিগগিরই আইন সংশোধন করে তা যুগোপযোগী করা হচ্ছে।
ভূমিসংক্রান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আলাদা ‘ল্যান্ড ক্রাইম অ্যাক্ট’ করার বিষয়টিও বিবেচনায় আছে বলে জানান ভূমিমন্ত্রী।