বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বন্ধ অ্যাপের বাইক, স্বজনে নেই আপত্তি

  •    
  • ৩১ মার্চ, ২০২১ ১৮:১৪

‘যে যার মোটরসাইকেলে ব্যবহার করতে পারবেন। একই পরিবারের সদস্য যেমন স্বামী-স্ত্রী, ভাই-বোন হলেও এক মোটরসাইকেলে যাওয়া যাবে।’

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ বেড়ে চলার পরিপ্রেক্ষিতে এবার অ্যাপে চালানো রাইড শেয়ারিং এর মোটর সাইকেলে যাত্রী বহন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ- বিআরটিএ। আপাতত দুই সপ্তাহের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বাস, লঞ্চ, ট্রেনসহ সব গণপরিবহনে প্রতি দুই আসনে একজন যাত্রী বহনের নির্দেশের দুই দিন পর মোটর সাইকেলে যাত্রী বহনের এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলো বুধবার। এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশও দিয়েছে সরকারের এই সংস্থাটি।

অফিসে আদেশে বলা হয়েছে, ‘করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার যে ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছে সেটা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী দুই সপ্তাহ মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।’

নিউজবাংলাকে বিআরটিএ পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) সরওয়ার আলম বলেন, ‘আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেহেতু ৫০ ভাগ যাত্রী নেয়ার কথা বলা হয়েছে, সেখানে মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিংয়ে একজনকে বোঝানো হয়। করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

অ্যাপের বাইকে যাত্রী বহন বন্ধ হলেও ব্যক্তিগত বাইরে পরিবারের সদস্যদেরকে বহন করা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিআরটিএ পরিচালক বলেন, ‘যে যার মোটরসাইকেলে ব্যবহার করতে পারবেন। একই পরিবারের সদস্য যেমন স্বামী-স্ত্রী, ভাই-বোন হলেও এক মোটরসাইকেলে যাওয়া যাবে।’

অফিসে কর্মী উপস্থিতি না কমিয়ে বাসে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন নিশ্চিত করার পর বাসে চড়তে ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী

বাইকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলেও অ্যাপে চালানো প্রাইভেট কার বা অন্য গাড়ির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ দেয়া হয়নি বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন বিআরটিএ পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) সরওয়ার আলম।

ফলে উবার, পাঠাওয়ের মতো সেবাগুলো গাড়িতে যাত্রী বহন করতে পারবে।

গত বছরের মার্চে করোনা সংক্রমণের পর সাধারণ ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলে বন্ধ হয়ে যায় সব গণ পরিবহন ও অ্যাপচালিত মোটরবাইক। ৩১ মে সাধারণ ছুটি শেষেও কয়েক মাস বন্ধ থাকে অ্যাপের বাইক।

মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ ক্রমে বেড়ে চলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ তারিখ জনসমাগম সীমিত করে ১৮ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো যানবাহনে যাত্রী কমানো।

বিআরটিএ পরে জানায়, প্রতি দুই আসনে একজন করে যাত্রী বহন করে আগের চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া নেয়া যাবে। তবে নির্দেশনা জারির প্রথম দিন বাসে যাত্রী উঠতে না পারার কারণে রাজধানীর নানা এলাকায় বেশ হাঙ্গামা হয়েছে।

১৮ নির্দেশনার মধ্যে অন্যতম অফিস আদালতে ৫০ শতাংশ উপস্থিতি এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। এর আগেই পরিবহনে কড়াকড়ি আরোপের কারণে সমালোচনাও হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর