বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হেফাজতের ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাচ্ছেন আইজিপি

  •    
  • ৩১ মার্চ, ২০২১ ১৮:০৪

হেফাজতের তাণ্ডব প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, ‘হেফাজতের কর্মীরা সারা দেশে তাণ্ডব চালান। প্রথমে বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও পরে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে। কোমলমতি ছাত্রদের ব্যবহার করা হয়। হাজার হাজার ছাত্র আমাদের হাটহাজারী থানায় আক্রমণ করে।’

হেফাজতের ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন ও জেলা পুলিশকে দিকনির্দেশনা দিতে বৃহস্পতিবার সেখানে যাচ্ছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ হেডকোয়ার্টারের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে গত শুক্র ও রোববার তাণ্ডব চালান হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। ওই তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন ও জেলা পুলিশের করণীয় নিয়ে দিকনির্দেশনা দিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় হেলিকপ্টারে সেখানে যাবেন আইজিপি।

গত শুক্র ও রোববার দুই দিন হেফাজতের তাণ্ডবে ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থাপনা। এর মধ্যে জেলা ভূমি অফিস, সুর সম্রাট আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন থেকে শুরু করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি কোনোটাই বাদ যায়নি। হামলা করা হয় ভাষাসংগ্রামী শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের স্মরণে শহরের কেন্দ্রস্থলে করা ভাষা চত্বরেও। এসব স্থাপনায় ভাঙচুরের পর আগুন দেয় মাদ্রাসাছাত্ররা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে হেফাজতের সমর্থকদের প্রথম হামলা হয় শুক্রবার। সে দিন রেলস্টেশন, মৎস্য অধিদপ্তর, আনসার ক্যাম্পে আগুন দেয় তারা। হামলা চালানো হয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। এ সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন একজন। একদিন পর রোববারের হরতালে হেফাজতের কর্মীরা ছিলেন আরও সহিংস। সেখানে জেলা পরিষদ কার্যালয়, পৌরসভা কার্যালয়, সুর সম্রাট আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ছাড়াও তাণ্ডব চালানো হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিজড়িত সবগুলো স্থাপনায়।

হামলা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে, বঙ্গবন্ধুর দুটি ম্যুরাল ভাঙচুরের পাশাপাশি দেয়া হয়েছে আগুন। ভাঙচুর চালানো হয়েছে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিফলকে, হামলা হয়েছে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার কার্যালয়ে, শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরেও ধরানো হয়েছে আগুন। রোববার বিকেলে মাইকিং করে শহর ছেড়ে মাদ্রাসায় ফিরে যাওয়ার পর সোমবার সকালেও রাস্তায় চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল অফিস-আদালতের ফাইল, জরুরি কাগজপত্র, রিকশার টায়ার, বিভিন্ন দোকান থেকে টেনে এনে পুড়িয়ে দেয়া ইলেকট্রনিকস সামগ্রী।

শুক্রবার যখন এসপি কার্যালয়ে হামলা হয় তখন পুলিশ গুলি করে। শনিবার হেফাজত কর্মীরা সুহিলপুরের নন্দনপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে পুলিশের ওপর হামলা চালালে গুলি ছুড়ে পুলিশ। আর রোববারের হরতালে তারা গুলি চালায় পুলিশ লাইনস এলাকায় আক্রান্ত হওয়ার পর। তিনি দিনের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোট ১১ জন হন।

বুধবার হেফাজতের হামলায় গুরুতর আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে ঢাকা সিএমএইচে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও আইজিপি বেনজীর আহমেদ। পুলিশ সদস্যদের খোঁজখবর নেয়া শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশপ্রধান বলেন, ‘হামলাকারীদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমি যেটা মনে করি, এই হামলার মাধ্যমে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে কলঙ্কিত করার অপচেষ্টা করেছেন তারা।’

হেফাজতের তাণ্ডব প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, ‘হেফাজতের কর্মীরা সারা দেশে তাণ্ডব চালান। প্রথমে বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও পরে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে। কোমলমতি ছাত্রদের ব্যবহার করা হয়। হাজার হাজার ছাত্র আমাদের হাটহাজারী থানায় আক্রমণ করে। এই থানায় আগেও একাধিকবার অ্যাটাক করেছিল তারা। তারা ওখানে ডাকবাংলোতে অ্যাটাক করে। ভূমি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয়। ভূমি অফিসের ল্যান্ড রেকর্ড একত্র করে জ্বালিয়ে দেয়। এতে ওই অঞ্চলের মানুষ বছরের পর বছর ভুগবেন।’

এ বিভাগের আরো খবর