দেশে দ্বৈত পাসপোর্টধারী নাগরিকের সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। আদালতের নির্দেশে ইমিগ্রেশন পুলিশের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপারের (ইমিগ্রেশন) পক্ষে বুধবার অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে প্রতিবেদনটি জমা দেয়া হয়। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, বাংলাদেশের ১৩ হাজার ৯৩১ জনের দ্বৈত নাগরিক ও দ্বৈত পাসপোর্টধারী নাগরিকের তালিকা সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন তাদের এসেছে।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন আজ আমাদের অফিসে দাখিল করা হয়েছে। শিগগিরই এ প্রতিবেদন হলফনামা করে আদালতে দাখিল করা হবে।’
অর্থ পাচার ও দুর্নীতির মাধ্যমে যারা বিদেশে বাড়ি নির্মাণ করেছেন অথবা বাড়ি কিনেছেন, সেসব বাংলাদেশির দ্বৈত নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট আছে এবং যারা দেশে-বিদেশে ঘন ঘন আসা-যাওয়া করছেন তাদের তালিকার জন্য আদেশ রয়েছে হাইকোর্টের।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ২১ ডিসেম্বর এ আদেশ দেয়।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
এর আগে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে গত বছরের ২২ নভেম্বর স্বপ্রণোদিত হয়ে এক আদেশে বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের সব ধরনের তথ্য চান হাইকোর্ট বেঞ্চ।