বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আট দেশের দশম ‘ডি-৮’ সম্মেলন শুরু ৫ এপ্রিল

  •    
  • ৩১ মার্চ, ২০২১ ১৩:৫৭

৫ থেকে ৮ এপ্রিল ডি-৮ এর শীর্ষ সম্মেলনটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অংশ নেবে বাংলাদেশ। ভার্চুয়াল সম্মেলটিতে বাংলাদেশ ছাড়া অন্য সাত দেশ হলো মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্ক।

উন্নয়নশীল আট দেশ নিয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক সংস্থা ডি-৮-এর দশম শীর্ষ সম্মেলন আগামী ৫ থেকে ৮ এপ্রিল ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন।

এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বুধবার এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।

ডি-৮ সদস্য রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্ক।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে প্রথম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। তারপর ১৯৯৯ সালে ঢাকায় দ্বিতীয় ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনটি সফলভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ।

মোমেন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেবেন। এ ছাড়া অন্যান্য ডি-৮ রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা ভার্চুয়াল মাধ্যমে এ শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন।

তিনি বলেন, এই সম্মেলনের স্বাগতিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আগামী দুই বছর ডি-৮-এর চেয়ারের দায়িত্ব পালন করবে।

এবারের শীর্ষ সম্মেলনে বর্তমান ডি-৮ চেয়ার তুরস্ক, বাংলাদেশকে ডি-৮ চেয়ারের দায়িত্ব হস্তান্তর করবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক সভা ভার্চুয়ালি হবে ৭ এপ্রিল। সেদিন ১৯তম ডি-৮ কাউন্সিল অফ মিনিস্টার এবং তার আগে ৫ ও ৬ এপ্রিল ৪৩তম ডি-৮ কমিশনের সেশন হবে।

কাউন্সিল অফ মিনিস্টার সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন।

এ ছাড়া দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে ৫ এপ্রিল ডি-৮ বিজনেস ফোরাম ও প্রথম ডি-৮ ইয়ুথ সামিট অনুষ্ঠিত হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সম্মেলন সফলভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানায় সংবাদ সম্মেলনে।

চতুর্থ শিল্পবিল্পবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে ডি-৮ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোতে যুবসমাজ যাতে তাদের সম্ভাবনাকে বিকশিত করতে পারে, সে জন্য সম্মেলনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘রূপান্তরিত বিশ্বের অংশীদার: যুব ও প্রযুক্তির শক্তিকে বিকশিত করা’।

দশম শীর্ষ সম্মেলনে বাণিজ্য, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, শিল্প সহযোগিতা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, পরিবহন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং পর্যটন এই ছয়টি ক্ষেত্রে আন্তঃ ডি-৮ সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ আন্তর্জাতিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিষয়ে সম্মিলিত নীতিগত অবস্থান গ্রহণ করা হবে।

সম্মেলনে ‘ঢাকা ঘোষণা ২০২১’ শীর্ষক ডকুমেন্ট গৃহীত হবে বলে প্রত্যাশার কথা সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন ঘিরে d8dhaka.com নামে একটি ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে, যেখানে আগামী দুই বছর, অর্থাৎ বাংলাদেশের চেয়ার থাকাকালীন বিভিন্ন তথ্য দেয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গৃহীত ‘রূপকল্প-২০২১’-এর মাধ্যমে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ‘রূপকল্প-২০৪১’ দিয়ে একটি উন্নত দেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।

আর্থসামাজিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় গৃহীত বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ, বিশ্বশান্তি রক্ষায় অংশগ্রহণ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সফলতা, বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় এবং কোভিড মহামারির পাশাপাশি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা ও রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছে।

ডি-৮ ভুক্ত দেশগুলো থেকে ব্যবসা ও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে প্রত্যাশার কথা জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।

এ বিভাগের আরো খবর