সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলবে লঞ্চ। তবে ভাড়া এখনও নির্ধারণ করতে পারেনি নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়।
বুধবার সচিবালয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ঈদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বৈঠক শেষে এসব কথা জানিয়েছেন এই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানতে হলে অবশ্যই ভাড়া বাড়াতে হবে। বুধবারের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ এবং লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ভাড়া নির্ধারণ করা হবে। কাল থেকে বাড়ানো হবে লঞ্চের ভাড়া। ভাড়া বাড়ানোর পাশাপাশি, পরিবহন সংখ্যাও বাড়ানো হবে।’
কোনো নৌ পরিবহন মালিক মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত না মানলে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
এর আগে গণপরিবহনে যাত্রী ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দেন সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ঈদে নৌ পরিবহন ব্যবস্থাপনায় নেয়া সিদ্ধান্ত
০১. করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা মেনে সদরঘাটসহ অন্যান্য নৌবন্দরে যাত্রীসহ নৌযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত দিয়েছে সরকার।
০২. অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করা হলে এবং নদীর মাঝপথে নৌকাযোগে যাত্রী উঠালে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিক চালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
০৩. ঈদের আগের তিনদিন ও পরের তিনদিন নিত্য প্রয়োজনীয় ও দ্রুত পঁচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ থাকবে।
০৪. রাতের বেলায় সকল প্রকার মালবাহী জাহাজ, বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।
০৫. আগামী ১১ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত দিনের বেলাও সকল বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।
০৬. সকল যাত্রীবাহী নৌযানে সদরঘাটে ঈদের আগের পাঁচদিন মালামাল বা মোটর সাইকেল পরিবহন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ এবং ঈদের পরে অন্যান্য নদী বন্দর হতে আগত নৌযানে পাঁচদিন মালামাল বা মটর সাইকেল পরিবহন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে।
০৭. রাতের বেলায় স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। আর দিনের বেলায় স্পিডবোট চলাচলের সময় যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পরিধান নিশ্চিত করতে হবে।
০৮. সদরঘাট থেকে বাহাদুরশাহ পার্ক পর্যন্ত রাস্তা যানজটমুক্ত এবং সদরঘাট টার্মিনাল ও লঞ্চগুলো হকারমুক্ত রাখতে হবে।
০৯. ঈদের পরে ফিরতি যাত্রীদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সদরঘাট টার্মিনালের সামনের রাস্তা থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে মধ্যরাতের পর থেকে মিনিবাস, লেগুনা, অটোরিক্সা ও টেম্পোসমূহ এলোমোলোভাবে না রেখে নির্ধারিত স্ট্যান্ডে পার্কিং নিশ্চিত করতে হবে।