বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রিজার্ভ চুরি: ৪৯তম বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন

  •    
  • ৩১ মার্চ, ২০২১ ১২:৩২

২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। পরে ওই টাকা তারা ফিলিপাইনের রিজল ব্যাংকে পাঠিয়ে দেয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির মামলার ৪৯তম বারের মতো পিছিয়েছে তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ।

অপরাধ তদন্ত সংস্থা (সিআইডি) বুধবার প্রতিবেদন জমা না দেয়ায় ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী নতুন তারিখ দিয়েছেন।

এবার ২৩ মের মধ্যে যেকোনো দিন সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

মতিঝিল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। পরে ওই টাকা তারা ফিলিপাইনের রিজল ব্যাংকে পাঠিয়ে দেয়।

দেশীয় কোনো চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করেছে বলে তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধারণা করছেন। এর পেছনে উত্তর কোরীয় হ্যাকারদের সংশ্লিষ্টতার তথ্যও এসেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে।

এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মামলা করেন।

তদন্তে নামে সিআইডি। প্রতিবেদন দাখিলে ২০১৬ সালের ১৯ এপ্রিল প্রথমবারের মতো দিন ঠিক করে দেয় আদালত।

এরপর থেকে দফায় দফায় সময় আবেদন করে প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়েছে তারা।

রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বছরের মার্চে সে মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ার খবর আসে গণমাধ্যমে।

রিজল ব্যাংক থেকে অর্থ তুলে একটি ক্যাসিনোতে নিয়ে যাওয়ার খবর প্রকাশের পর সেই ক্যাসিনো মালিকের কাছ থেকে দেড় কোটি ডলার উদ্ধার করে বাংলাদেশ সরকারকে বুঝিয়েও দেয় ফিলিপাইন। বাকি অর্থ উদ্ধারে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই।

এ বিভাগের আরো খবর