বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খিলক্ষেতে হবে দেশের প্রথম হেলিপোর্ট

  •    
  • ৩১ মার্চ, ২০২১ ০৯:২২

হেলিপোর্টের জন্য ৩৫ একর জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাথমিক নকশাও চূড়ান্ত। অন্তত ৮০টি হেলিকপ্টার রাখার ব্যবস্থা থাকবে সেখানে। একই সময়ে একাধিক হেলিকপ্টার ওঠানামার প্রযুক্তিও সংযুক্ত থাকবে।

রাজধানীর খিলক্ষেতের কাউলায় নির্মাণ করা হবে দেশের প্রথম হেলিপোর্ট। এ লক্ষ্যে জাপানি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকাকে প্রস্তাব দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। তবে এখনও কোনো জবাব আসেনি বলে জানিয়েছেন বেবিচক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হেলিপোর্টের প্রাথমিক নকশা চূড়ান্ত হয়েছে। জাইকা অর্থায়ন না করলে নিজস্ব টাকায় নির্মাণ করা হবে হেলিপোর্ট।’

এটির নাম হবে ‘বঙ্গবন্ধু হেলিপোর্ট’।

দেশে বর্তমানে ১০টি প্রতিষ্ঠানের ৩০টি হেলিকপ্টার বাণিজ্যিক সেবা দিয়ে আসছে। এর পাশাপাশি এগুলো ব্যক্তিগত কাজেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

এর মধ্যে স্কয়ার লিমিটেডের তিনটি, মেঘনা এভিয়েশনের চারটি, আর অ্যান্ড আর এভিয়েশনের সাতটি, সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইনসের চারটি, বসুন্ধরা এয়ারওয়েজের চারটি, ইমপ্রেস এভিয়েশনের একটি, বিআরবি এয়ার লিমিটেডের দুটি, বাংলা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের একটি, পারটেক্স এভিয়েশন ও বিসিএলে দুটি করে হেলিকপ্টার বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

বেবিচকের হিসাবে, কয়েক বছর আগেও মাসে হেলিকপ্টারের ফ্লাইটসংখ্যা ছিল ১ হাজারের মতো। কিন্তু এখন প্রতি মাসে ৫ হাজারেরও বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে।

হেলিকপ্টারের ফ্লাইটসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বিঘ্ন হচ্ছে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উড়োজাহাজ চলাচল। এ কারণে হেলিপোর্ট নির্মাণে আগ্রহী হয় বেবিচক।

বেবিচক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান বলেন, ‘কাউলাতে (বিমানবন্দর এলাকার কাছে খিলক্ষেত) আমাদের যে রেসিডেনসিয়াল এলাকা আছে, তার দক্ষিণে প্রায় ৩৫ একর জায়গা আমরা ঠিক করেছি। এখানেই হেলিপোর্টটা হবে। জায়গা নির্ধারণ হয়েছে, প্রাথমিক নকশাও চূড়ান্ত হয়েছে। এগুলো আমরা বিদেশি পরামর্শকদের দিয়ে করিয়েছি।

‘এটা আমরা চেষ্টা করেছিলাম বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের এক্সটেনশন হিসেবে এটা করতে। পরে জাইকার সাথেও অর্থায়নের বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এখনও তাদের থেকে কোনো ইতিবাচক কিছু পাইনি। যদি তারা আগ্রহী না হয়, তাহলে আমরা নিজস্ব ফান্ড দিয়েই এটা করব। দ্রুতই এটার কাজ শুরু হবে।’

বেবিচক জানায়, বঙ্গবন্ধু হেলিপোর্টে অন্তত ৮০টি হেলিকপ্টার রাখার ব্যবস্থা থাকবে। একই সময়ে একাধিক হেলিকপ্টার ওঠানামার প্রযুক্তিও সংযুক্ত থাকবে এতে।

বঙ্গবন্ধু হেলিপোর্টের কাজ দ্রুত শুরু করার তাগিদ দিয়েছেন এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল মফিজুর রহমান। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঢাকার জন্য সেন্ট্রাল হেলিপোর্ট অবশ্যই প্রয়োজন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আছে, দিল্লি, দুবাই লন্ডন যেকোনো বড় শহরেই আছে। কোথাও কোথাও তিনটা চারটাও আছে। এর ভিত্তিতে আমাদের দাবি ছিল একটি হেলিপোর্টের।’

‘মূলত হেলিপোর্ট কখনই বিমানবন্দরের সাথে হয় না, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাথে তো হয়ই না। আমাদের এখানে ফ্লাইট ডিসরাপশন হয়, হেলিকপ্টার অপারেশনেরও সমস্যা হয়। এখানে কিছু করতে হলে একটু সময় লাগে। কিন্তু যত তাড়াতাড়ি এটা হয় তত ভালো।’

তিনি বলেন. ‘আমাদের পুরো এভিয়েশন খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো হেলিকপ্টার সার্ভিস। যদিও একটা মিসপারসেপশন আছে বিভিন্ন স্তরে যে, এটা বড়লোকদের টয় বা কার। কিন্তু এটা এখন ভ্রান্ত ধারণা।

‘এটা প্রথমত বিভিন্ন জায়গা থেকে রোগী নিয়ে ঢাকায় আসছে। এটা মানবিক সেবা। দ্বিতীয়ত, হলি আর্টিজানের পর এখন বাংলাদেশে অনেক ব্যবসায়ীই আসতে চায় না। তারা বলে যে ব্যাংককে এসে মিটিং করো, বা কুয়ালালামপুর-দুবাই এসে মিটিং করো। সেটা কিন্তু এখনও আছে।’

মফিজুর রহমান আরও বলেন, ‘এ ছাড়া রাস্তাঘাটের বিভিন্ন সমস্যাতো আছেই। কিন্তু প্র্যাকটিক্যালি কাজ করতে হলে তো ওদের ফ্যাক্টরি ভিজিট করতে হবে। ওরা এখন যেটা করে, বিমানবন্দরে নেমে হেলিকপ্টারে করে সরাসরি ফ্যাক্টরিতে চলে যায়।

‘এভাবে আমাদের অর্থনীতিতে হেলিকপ্টার কিন্তু একটা বিরাট প্রত্যক্ষ অবদান রাখছে। তারপরেও দেশের ভেতরে খুব সহজে চলাচলের ক্ষেত্রেও এটা ব্যবহার করা যায়। এটাকে উচ্চবিত্তের বাহন হিসেবে না দেখে সেবা হিসেবে দেখাই ভালো। আর এর জন্য প্রয়োজনীয় পলিসি সাপোর্টও নিশ্চিত করা উচিত।’

এ বিভাগের আরো খবর