বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৭১-এর নৃশংসতা: ক্ষমা চাইতে বললেন পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবীও

  •    
  • ৩০ মার্চ, ২০২১ ২২:০৯

পাকিস্তানি বুদ্ধিজীবী হুসেইন হাক্কানি বলেন, ‘আজ পর্যন্ত ক্ষমা চায়নি তারা (পাকিস্তান)। আমি মনে করি, ১৯৭১ সালে চালানো ভয়াবহ নিষ্ঠুরতার জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে পাকিস্তান সরকারের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়া উচিত। আর সেজন্য পাকিস্তানি জনগণের উচিত তাদের সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা।’

মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালিদের ওপর নৃশংসতা চালানোয় পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মনে করেন দেশটির বুদ্ধিজীবী হুসেইন হাক্কানি।

সোমবার ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান: মুক্তি সংগ্রামের প্রতিনিধি’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সংলাপে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সংলাপটি সম্মিলিতভাবে আয়োজন করে বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গে নিযুক্ত বাংলাদেশের দূতাবাস এবং বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশ মিশন।

নিষ্ঠুরতার জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে পাকিস্তান সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগে দেশটির জনগণের সোচ্চার হওয়া উচিত বলে মনে করেন হাক্কানি।

‘আজ পর্যন্ত ক্ষমা চায়নি তারা (পাকিস্তান)। আমি মনে করি, ১৯৭১ সালে চালানো ভয়াবহ নিষ্ঠুরতার জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে পাকিস্তান সরকারের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়া উচিত। আর সেজন্য পাকিস্তানি জনগণের উচিত তাদের সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা।’

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্ক হাডসন ইনস্টিটিউটের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক পরিচালকের দায়িত্বে থাকা এই পাকিস্তানি বুদ্ধিজীবীর মতে, ক্ষমা চাওয়া ‘বড় বিনয়’।

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের প্রসঙ্গও টানেন ২০০৮ থেকে ২০১১ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানি দূতাবাসে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা হাক্কানি। বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমানকে কারারুদ্ধ করা এবং বাঙালিদের ওপর গণহত্যা চালানোর মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাদের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল।’

স্বাধীন বাংলাদেশের নায়ক বঙ্গবন্ধু প্রসঙ্গে এই বুদ্ধিজীবী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শুধু শ্রেষ্ঠ বাঙালিই নন, বিশ্ব ইতিহাসেরও অন্যতম সেরা নেতা। বিংশ শতকের মুক্তিকামী মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। নেতৃত্বের বিচারে বঙ্গবন্ধু মহাত্মা গান্ধী ও নেলসন ম্যান্ডেলাদের সমতুল্য।’

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান: মুক্তি সংগ্রামের প্রতিনিধি’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সংলাপে যুক্ত হন পাকিস্তানি বুদ্ধিজীবী হুসেইন হাক্কানি (নিচে)।

উন্নয়নের সব সূচকে বাংলাদেশের সাফল্যের পেছনে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের প্রশংসা করে হাক্কানি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে সফল দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এই অর্জনের পেছনে রয়েছে বঙ্গবন্ধু এবং তার যোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান।’

ভার্চুয়াল সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের নারকীয় গণহত্যার জন্য পাকিস্তান ক্ষমা চাইতে পারত। যদিও শেষ মুহূর্তে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী একটি ভিডিওবার্তা পাঠিয়েছেন। তবে সেই রাতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর চালানো গণহত্যার জন্য তিনি ক্ষমা চাননি।

২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে মনে করেন মোমেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রাসেলসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ।

এ বিভাগের আরো খবর