রাজধানীর দক্ষিণখানে ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদকে গুলি করে হত্যার মামলায় আমিনুল ইসলাম হান্নানকে আবারও দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
আমিনুল জাপানি হান্নান নামেও পরিচিত। মঙ্গলবার তাকে রিমান্ড ফেরত আদালতে হাজির করার পর দক্ষিণখান থানার পুলিশ আবারও রিমান্ডের আবেদন করে।
ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস শুনানি শেষে দুই দিনের জন্য এই রিমান্ডের আদেশ দেন।
চার দিনের রিমান্ড শেষে জাপানি হান্নানকে মঙ্গলবারই আদালতে হাজির করা হয়। আরও ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজহারুল ইসলাম।
রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান আসামির রিমান্ড প্রার্থনা আদালতে উপস্থাপন করেন।
আসামির পক্ষে আইনজীবী পীযূষ কান্তি রায় রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জাপানি হান্নানের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৫ মার্চ এ মামলায় জাপানি হান্নানের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল সিএমএম আদালত। ওই দিন জাপানি হান্নানের ছেলে-ভাইসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দুই দিন করে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছিল আদালত ।
২৮ মার্চ আবার রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে ওই সাতজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। তারা এখন কারাগারে আছেন।
কারাগারে থাকা ওই সাতজন হলেন হান্নানের ছেলে মো. ইকরামুল ইসলাম, ভাই শফিকুল ইসলাম ইমরান এবং আল-আমীন প্রধান, জহুরুল ইসলাম রিপন, খোরশেদ আলম, মো. মোশারফ হোসেন ও মো. নুরুন নবী।
এদিকে ২৫ মার্চ অস্ত্র মামলায় জাপানি হান্নানের এক দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয় আদালত। তবে ওই মামলায় এখনও তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি পুলিশ।
দক্ষিণখানের আশকোনা এলাকায় বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে গত ২৪ মার্চ দুপুরে জাপানি হান্নান ও সোহেল রেজা পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
অভিযোগ রয়েছে, এ সময় আব্দুর রশিদকে গুলি করে হত্যা করেন জাপানি হান্নান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হান্নানের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আশকোনা এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রশিদকে হত্যার ঘটনায় তার ভাই হারুন অর রশিদ দক্ষিণখান থানায় জাপানি হান্নানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।