করোনা ভাইরাস থেকে দেশ ও বিশ্ববাসীর মুক্তি কামনার পাশাপাশি হিংসা দূর করার দোয়া করা হলো পবিত্র শরেবরাতের মোনাজাতে।
সোমবার রাতে এশার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে এই মোনাজাত পরিচালনা করেন সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান।
করোনা সংক্রমণ আবার বেড়ে যাওয়ার কারণে জন সমাগমে বিধি নিষেধ দেয়ার দিন পবিত্র রজনীতে এই মসজিদে মুসল্লিদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
ইসলাম অনুসারীদের কাছে এটি ভাগ্য নির্ধারণেরও রাত। ইসলাম বিশেষজ্ঞরা বলেন, এ রাতে মহান আল্লাহতালা পরের বছরের জন্য মানবজাতির রিজিক ও ভাগ্য নির্ধারণ করেন।
এ রাতে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে গুনাহ থেকে মাফ পাওয়া যায়।
এ জন্য এশার নামাজ শেষে নফল ইবাদতে নিমগ্ন হন মুসলিমরা। সারা রাত ধরে চলে প্রার্থনা। দুই হাত তুলে মনোবাসনা পূরণে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানান তারা।
এই রাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে নামাজের আগে বয়ান করা হয়। নামাজ শেষে দোয়া করার সময় মুসল্লিরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
মোনাজাতে মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহ আপনি দয়া করে মাফ করেদিন, সবাইকে সুস্থতা দান করুন। পরিবার ও সমাজকে হিংসুকের হিংসা থেকে মুক্তি দিন। সবাইকে বরকতময় দিন দান করুন। বিশ্ব মুসলিমদের মাঝে শান্তি দিন, সবাইকে এক ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে দিন।’
পুরান ঢাকার আরমানিটোলা থেকে নামাজ পড়তে এসেছিলেন রাসেল হাসান। তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিবার শবে বরাতে এখানে নানাজ পরতে আসি। অন্যবারের চেয়ে এবার লোক সংখ্যা কম। অন্যবারে বারান্দাও ভর্তি হয়ে যায় কিন্তু এবার হয়নি।’
নারায়ণগঞ্জের শিবু মার্কেট এলাকা থেকে আসা শরীফ খান বলেন, ‘এ মসজিদে আগে কখনও নামাজ পড়িনি। তাই এবার এসেছি।’