আশির দশকের প্রথম দিকে দেশের কষ্টার্জিত স্বাধীনতা নষ্ট হতে দেখে তীব্র হতাশায় ভুগেছিলেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে রাজু আলীমের ‘শেখ হাসিনা সরকার’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আশির দশকের প্রথম দিকে আমরা খুব হতাশায় ভুগছিলাম। আমরা যে স্বাধীনতার জন্য চেষ্টা করলাম, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দেখে। ১৯৭৫-৯০ সালে আমাদের প্রবৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ৩ দশমিক ২ ভাগ। আর প্রতিবেশী রাষ্ট্র মালয়েশিয়াকে দেখেছি তাদের অগ্রগতি দ্বিগুণ করতে। তখন খুব দুঃখ লাগত। দেশটা কোথায় গেল? পরবর্তীতে শেখ হাসিনা সরকার আসার পর এখন কিন্তু আমাদের বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার গড়ে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। এগুলো সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার বুদ্ধিমত্তা ও দৃঢ় প্রত্যয়ের ফলে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে অনেক নেতার জন্ম হয়েছে। কিন্তু এই দেশকে স্বাধীন করতে হবে এ কথা কেউ চিন্তাও করেননি। যিনি এই কথা চিন্তা করেছিলেন, তিনি হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ জন্য নির্দ্বিধায় বলা যায় বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু অভিন্ন, অবিচ্ছেদ্য।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছেন। একই সঙ্গে আরেকটি কাজ করে গেছেন। সেটি হচ্ছে আমাদের হৃদয়ে একটি সোনার বাংলার স্বপ্ন প্রোথিত করে দিয়ে গেছেন। তিনি সাড়ে তিন বছরে সেটি অর্জন করতে পারেননি। সৌভাগ্যের বিষয় হচ্ছে সেই কাজটি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সম্পন্ন করেছেন।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে গান পরিবেশন করেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত লালনসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, অনন্যা প্রকাশের প্রকাশক মনিরুল হক, ‘শেখ হাসিনা সরকার’ বইয়ের লেখক রাজু আলীম।