করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণ ঠেকাতে সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ ও মেলা নিরুৎসাহিত করে সরকার ১৮ দফা নির্দেশনা দিলেও, বইমেলা নিয়ে এখনও সোমবার বিকেল পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, বৈঠক করে বইমেলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।
কে এম খালিদ বলেন, ‘বিষয়টি (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেয়া প্রজ্ঞাপন) এখনও আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি। তবে আমি শুনেছি। এ রকম হলে, পরে মিটিং করে ডিসিশন নেব।’
গত বছরের ডিসেম্বরের পর থেকে করোনা সংক্রমণ কমে আসতে থাকে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষে করোনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার তিন শতাংশের নিচে নেমে আসে। কমে আসতে থাকে মৃত্যুও।
কিন্তু মার্চের শুরুতে গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার বাড়তে থাকে সংক্রমণ, বাড়তে থাকে মৃত্যুও। পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার গত ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে ১৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
মেলা শুরুর আগে ১৬ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ জানিয়েছিলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লে মাঝপথেই অমর একুশে গ্রন্থমেলা বন্ধ করা হতে পারে।
করোনায় এবার দেড় মাসেরও বেশি পিছিয়ে মেলা শুরু হয় ১৮ মার্চ। মেলা শেষ হওয়ার কথা ১৪ এপ্রিল।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলা একাডেমি আয়োজিত মেলাটি এবার উৎসর্গ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশে। এবারের বইমেলার মূল থিম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় ১৫ লাখ বর্গফুট জায়গায় বসছে মেলা। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৭টি প্রতিষ্ঠানের ১৫৪টি স্টল এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪০৩ প্রতিষ্ঠানকে ৬৮০টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মেলায় ৩৩টি প্যাভিলিয়ন আছে।
এবারও লিটল ম্যাগাজিন চত্বর বসছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সেখানে ১৩৫টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দের পাশাপাশি পাঁচটি উন্মুক্ত স্টল দেয়া হয়েছে।
মেলায় একক ক্ষুদ্র প্রকাশনা সংস্থা এবং ব্যক্তি উদ্যোগে যারা বই প্রকাশ করেছেন, তাদের বই বিক্রি ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে।