করোনার সংক্রমণ রেকর্ড গড়ার দিন সাধারণের চলাচল ও অফিসে উপস্থিতিতে বিধিনিষেধ দিলেও গত বছরের মতো সাধারণ ছুটি ঘোষণার কোনো পরিকল্পনা এখনও নেই বলে জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
সোমবার জনসমাগম কমানো, উচ্চ সংক্রমণ এলাকায় গমনে নিষেধাজ্ঞা দেয়াসহ ১৮ দফা নির্দেশনা দেয়ার পর গণমাধ্যমকে এ কথা জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘সাধারণ ছুটি দেয়ার বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই। কোনো আলোচনা হয়নি। সতর্ক থেকে আমরা আগে করোনা নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছি। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে আমরা আবারও করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। করোনা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সমস্যা হবে।’
গত বছরের মার্চে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর ২৬ মার্চ থেকে ঘোষণা করা হয় সাধারণ ছুটি। বন্ধ করে দেয়া হয় গণপরিবহন। তবে মে থেকে সাধারণ ছুটি তুলে দিয়ে নানা বিধিনিষেধসহ অফিস আদালত চালু করা হয়, খোলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
ডিসেম্বরের পর থেকে করোনা সংক্রমণ কমে আসতে থাকে, ফেব্রুয়ারির শেষে করোনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার তিন শতাংশের নিচে নেমে আসে। কমে আসতে থাকে মৃত্যুও।
কিন্তু মার্চের শুরুতে গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার বাড়তে থাকে সংক্রমণ, বাড়তে থাকে মৃত্যু। পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার গত ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে ১৮.৬৫ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন মোট ৫ হাজার ১৮১ জন। এর আগে সর্বোচ্চ শনাক্ত ধরা পড়ে গত বছরের ২ জুলাই। সেদিন আক্রান্ত হন ৪ হাজার ১৯ জন।
এটা স্পষ্টত দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনা আরও বেশি ছড়িয়ে পড়েছে। আর এ কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ দিয়েও পিছিয়ে এসেছে সরকার। পর্যটন স্থানগুলোতে সফরে বিধিনিষেধ আসছে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন।
এর মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সরকারকে লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছে বলেও গণমাধ্যমে খবর এসেছে। তবে সরকার এই পরিকল্পনা এখনও গ্রহণ করেনি।