বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষ: মামলায় আসামি ৫ শতাধিক

  •    
  • ২৯ মার্চ, ২০২১ ১৩:২২

পল্টন মডেল থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক নিউজবাংলাকে বলেন, শুক্রবার পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। সরকারি কাজে বাধা, মোটরসাইকেল পোড়ানোর জন্য মামলাটি হয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর ঠেকাতে বায়তুল মোকাররম এলাকায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ।

পুলিশের পক্ষে পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শামিম বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে এই মামলা করেন।

পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক নিউজবাংলাকে বলেন, সরকারি কাজে বাধা, মোটরসাইকেল পোড়ানোর জন্য মামলাটি হয়েছে।

তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলাম ও ইসলামি সমমনা দলের অজ্ঞাতপরিচয় ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

তবে এ মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুক্রবার দুই দিনের ঢাকা সফরে আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বেশ কিছুদিন ধরেই এ সফর ঠেকাতে উত্তপ্ত বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা।

হেফাজতের নেতা-কর্মীরা বায়তুল মোকাররম এলাকায় দুটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। ফাইল ছবি

সফরের দিন জুমার নামাজের পর সরকার সমর্থক ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতা-কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান হেফাজতে ইসলাম ও সমমনা ইসলামি দলের নেতা-কর্মীরা।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও জলকামান ব্যবহার করতে দেখা যায়।

বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়ছেন হেফাজতের কর্মীরা। ফাইল ছবি

সংঘর্ষের সময় মসজিদ এলাকায় অন্তত দুটি মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেয় মোদিবিরোধীরা।

মসজিদের ভেতর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেলও নিক্ষেপ করা হয়।

বায়তুল মোকাররম মসজিদে সংঘর্ষের পর বিকেলে তার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও সংঘর্ষ হয়।

হাটহাজারী থানা ও বেশ কয়েকটি সরকারি স্থাপনায় হামলা চালান হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা। তাদের ঠেকাতে একপর্যায়ে গুলি ছুড়তে বাধ্য হয় পুলিশ। তাতে চারজন নিহত হন।

হেফাজতের কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও। ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবে রেলস্টেশন, সরকারি ডাকবাংলোসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে আগুন দেয়া হয়। সেখানেও পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হন শুক্রবার।

পরে শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ ও রোববার হরতাল কর্মসূচি দেয় হেফাজতে ইসলাম। শনিবারের বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ হলেও রোববার হরতালে ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বেশ কয়েকটি স্থানে সংঘর্ষে জড়ান হেফাজত কর্মীরা। সংঘর্ষে তিন দিনে চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর