চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে রেললাইনের স্লিপার তুলে নিয়েছে আল জামেয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম-হাটহাজারীর ছাত্ররা।
রোববার সকালে হেফাজতে ইসলামের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে চট্টগ্রাম-নাজিরহাট রেললাইনের হাটহাজারী মাদ্রাসার পশ্চিম দিকের অলিপুর এলাকায় অবস্থান নেয় হেফাজতের কর্মীরা। একপর্যায়ে তারা রেললাইনে চলে আসে।
এতে নাজিরহাট-দোহাজারী লাইনে রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সারওয়ার আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মাদ্রাসা ছাত্ররা রেললাইনের স্লিপার তুলে নেয়ায় নাজিরহাট-দোহাজারী লাইনে রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে৷ বাকি সব লাইনে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে। তবে হরতালের কারণে বাড়তি সতর্কতার জন্য রেল চলাচল একটু ধীর গতিতে হচ্ছে।’
হেফাজতের কর্মীরা ট্রেনে হামলা করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও। তালশহর এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া সোনার বাংলা এক্সপ্রেসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রুটে ট্রেন বন্ধ করে দেয়া হয়। ভাঙচুর করা ট্রেনটি নিরাপদে রাখতে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ট্রেনের পাশাপাশি হাটহাজারীতে মাদ্রাসার পাশ দিয়ে যাওয়া মহাসড়কে গাড়ি চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে সেখানকার ডাকবাংলো, এসিল্যান্ড কার্যালয় ও থানায় হামলার পর পুলিশের গুলিতে চারজন নিহতের পর চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে রাখে মাদ্রাসার ছাত্ররা। শনিবার সড়কে ইট দিয়ে দেয়াল তুলে দেয়া হয়।
হেফাজতের হরতালের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে হাটহাজারীতে মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরাও। তবে দুই পক্ষই নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করছে।