বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সগিরা হত্যা: পেছাল সাক্ষ্য গ্রহণ

  •    
  • ২৮ মার্চ, ২০২১ ১৬:০০

হরতালের কারণে কারাগার থেকে মামলার আসামি হাসান আলীর শ্যালক আনাস মাহমুদ রেজওয়ান ও ‘ভাড়াটে খুনি’ মারুফ রেজাকে আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়েছে।

রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে ৩১ বছর আগের চাঞ্চল্যকর সগিরা মোর্শেদ সালাম হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১৩ এপ্রিল নতুন দিন ঠিক করেছে আদালত।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রবিউল আলম রোববার এ তারিখ দিয়েছেন।

মহানগর দায়রা আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মামলার বাদী সগিরার স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরীকে জেরার তারিখ ছিল রোববার। হরতালের কারণে কারাগার থেকে মামলার আসামি হাসান আলীর শ্যালক আনাস মাহমুদ রেজওয়ান ও ‘ভাড়াটে খুনি’ মারুফ রেজাকে আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি।

এ জন্য বিচারক বাদীকে জেরাসহ পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নতুন তারিখ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বলা বলা হয়, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদ সালাম ভিকারুননিসা নূন স্কুলে মেয়েকে আনতে যান। বিকেল ৫টার দিকে তিনি সিদ্ধেশ্বরী রোডে রিকশায় যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল আরোহী ছিনতাইকারীরা তার পথ রোধ করে হাতের স্বর্ণের চুড়ি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।

সগিরা মোর্শদ দৌড় দিলে ছিনতাইকারীরা গুলি করে। আশপাশের লোকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।

ওই দিনই রমনা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন সগিরা মোর্শেদের স্বামী সালাম চৌধুরী। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক জড়িত দুইজনকে শনাক্ত করলেও অজ্ঞাত কারণে মিন্টু ওরফে মন্টু ওরফে মরণ নামে একজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় গোয়েন্দা পুলিশ।

১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি আসামি মন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দিক।

এই ঘটনায় সাতজনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। সাক্ষ্যে মারুফ রেজা নামে এক ব্যক্তির নাম আসায় অধিকতর তদন্তের আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। একই বছরের ২৩ মে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত।

এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন মামলা করেন মারুফ রেজা।

১৯৯১ সালের ২ জুলাই ওই তদন্তের আদেশ ও বিচারকাজ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তদন্তের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।

১৯৯২ সালের ২৭ আগস্ট ওই রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার বিচারকাজ স্থগিত থাকবে মর্মে আরেকটি আদেশ দেয়া হয়।

২০১৯ সালের ২৬ জুন এ মামলার ওপর ২৮ বছর ধরে থাকা স্থগিতাদেশ তুলে নেয় হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে মামলা ৬০ দিনের মধ্যে পিবিআইকে অধিকতর তদন্ত শেষ করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

একই বছরের ২০ নভেম্বর পিবিআইকে হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে বেঞ্চ তদন্তের জন্য আরও ৬০ দিনের সময় দেন।

এরপর পিবিআই বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। চারজনই হত্যার দায় স্বীকার করে বিচারিক আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

২০২০ সালের ৯ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ মামলায় পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করে বিচারের আদেশ দেন।

এর আগে গত বছরের ১৬ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সগিরার ভাসুরসহ চারজনকে আসামি করে ১ হাজার ৩০৯ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম।

মামলার আসামিরা হলেন সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী, তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা শাহীন, হাসান আলীর শ্যালক আনাস মাহমুদ রেজওয়ান ও ‘ভাড়াটে খুনি’ মারুফ রেজা।

এ বিভাগের আরো খবর