বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তাণ্ডবের পর হেফাজতের দেশ অচলের হুমকি

  •    
  • ২৮ মার্চ, ২০২১ ১৫:৩৬

হরতালে দেশের নানা এলাকায় ত্রাস চালালেও বায়তুল মোকাররমের সামনে সমাবেশে হেফাজত দাবি করে, তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছে। তাদের ওপর হামলা হয়েছে। যদি এভাবে হামলা হয়, তাহলে সারা দেশ অচল করে দেয়া হবে।

হরতাল চলাকালে দেশের বিভিন্ন এলাকায় হেফাজতের কর্মীদের তাণ্ডবের মধ্যে ঢাকায় এক সমাবেশে গোটা দেশ অচল করে দেয়ার হুঁশিয়ারি এসেছে।

হেফাজতের হরতাল শান্তিপূর্ণ দাবি করে সংগঠনের নেতা মামুনুল হক বলেন, ‘আমাদের শান্ত থাকতে দিন। আবার যদি আমার কোনো ভাইয়ের রক্ত ঝরে, হত্যা করা হয়, আর একটি গুলিও যদি ছোড়া হয়, তাহলে গোটা দেশকে অচল করে দেয়া হবে।’

হরতাল চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় হেফাজত কর্মীদের ত্রাসের মধ্যে রোববার দুপুরে বায়তুল মোকাররমে সমাবেশ করেন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

এতে বক্তব্য রাখেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। তাদের কর্মীরা সকাল থেকে যে হামলা, ভাঙচুর চালাচ্ছে, তার কোনো কিছুই উল্লেখ না করে উল্টো তাদের ওপর হামলার অভিযোগ আনলেন হেফাজত নেতা।

সকাল থেকেই মামুনুলের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা বায়তুল মোকাররম ও আশপাশে অবস্থান নিয়ে মিছিল করেন। দেশের নানা প্রান্ত সহিংস হয়ে উঠলেও এখানে তারা ছিলেন অনেকটাই শান্ত।

হরতালে শহরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় বেপরোয়া হামলা চালায় হেফাজত সমর্থক মাদ্রাসা ছাত্ররা। ছবি: নিউজবাংলা

মামুনুল বলেন, ‘আজ আমাদের হরতাল কর্মসূচি, আওয়ামী লীগের নয় তবু কেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী বাহিনী মাঠে আছে? আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ভাইদের ওপর পুলিশ-বিজিবি গুলি করছে।’

তিনি বলেন, ‘মধুগড়ের আমাদের বর্ষীয়ান আলেম হেফাজতের নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল হামিদ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এমনটা করে সরকার একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাতেও হামলা করে হেফাজত কর্মীরা

‘হাটহাজারীতে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমার ভাইয়ের রক্ত পান করেছেন, পীর সাহেবকে রক্তাক্ত করেছেন, নির্বিচারে গুলি ছুড়ছেন- এরপরেও কি আপনাদের রক্ত পিপাসা মেটেনি? এভাবে গোটা বাংলাদেশের জনগণকে খুন করে আপনারা রামরাজত্ব চালাতে চান?’

এভাবে গুলি করে হেফাজতকে দমানো যাবে না উল্লেখ করে মামুনুল হক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘বরং আপনি আপনার গদি টেকাতে পারবেন কি না সেটা দেখুন।

হেফাজত কর্মীদের হামলায় আহত হন সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জালাল উদ্দিন।

‘আর যদি আমার কোনো ভাইকে হত্যা করা হয়, আবার যদি গুলি চলে, আর যদি কোনো ভাইয়ের রক্ত ঝরে, তাহলে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া গোটা বাংলাদেশ অচল করে দেয়া হবে।’

হেফাজতের কর্মীরা যা যা করেছেন

গত দুই দিন সহিংস ব্রাহ্মণবাড়িয়া সকাল থেকে জ্বলছে হেফাজতের কর্মীদের আক্রমণে।

তারা হামলা করেছেন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, ঘরবাড়ি, আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নেতাদের বাড়িতে।

তারা জেলা পরিষদ কার্যালয়ে, পৌরসভা কার্যালয়ে, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এবং সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি ও কার্যালয়ে, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি, ভূমি অফিসে, আয়কর আইনজীবী ও আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল হক ভূঁইয়ার কার্যালয়ে, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার ও শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ চত্বরে আয়োজিত উন্নয়ন মেলায় আগুন দিয়েছেন।

আগুন দেয়া হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে রেললাইনের কাঠের পাটাতনে।

ভাঙচুর করেছেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যালয়, ব্যাংক এশিয়া, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, সুরসম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতায়ন এবং পরিবার ও পরিকল্পনা কার্যালয়ে।

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম জালাল উদ্দিনকে পেটানো হয়েছে। হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে হামলা হয়েছে পুলিশের ওপর।

কিশোরগঞ্জেও আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন তারা। নারায়ণগঞ্জে হামলা হয়েছে সাংবাদিকদের ওপর। ছবি তুলতে গেলেই ছিনিয়ে নেয়া হয় ক্যামেরা, মোবাইল ফোন।

এ বিভাগের আরো খবর