নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে মাদানীনগর পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অন্তত ১০টি জায়গায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছেন হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। মহাসড়কে সাঁজোয়া যান নিয়ে পুলিশ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরা মুখোমুখী অবস্থান নিয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, হরতালের সমর্থনে রোববার ফজরের পর থেকেই হেফাজতের শ শ নেতা-কর্মী ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থী মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেন। টায়ার, গাছের গুঁড়ি ও বাঁশে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন। এ ছাড়া বিভিন্ন পয়েন্টে লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নিতে দেখা যায় তাদের। বেলা বাড়ার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মহাসড়কে সাঁজোয়া যান নিয়ে অবস্থান নেয় পুলিশ।হেফাজতের নেতা-কর্মী ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থী ছাড়াও সেখানে সকাল থেকেই প্রচুরসংখ্যক ‘বহিরাগত’ অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পুলিশ কয়েক দফা হরতাল সমর্থকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও ফল হয়নি। অনেক জায়গায় পুলিশকে উদ্যোগী হয়ে টায়ারের আগুন নেভাতে দেখা যায়।ব্যস্ত এই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় হাজার হাজার মানুষ হেঁটে যেতে বাধ্য হন।
সকাল সোয়া ১০টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় হেফাজতের নেতা-কর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি সামলাতে টিয়ার শেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে।
হরতালকে কেন্দ্র করে সাইনবোর্ড, শিমরাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক পুলিশ বিজিবি ও র্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে।