নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড়ে সড়ক অবরোধ করে থাকা হেফাজতে ইসলামের হরতাল সমর্থকদের সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে গুলি চালিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।
সানারপাড় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সকাল সোয়া ১০টার দিকে অন্তত ২০টি গুলি ছোড়া হয়।
সড়কে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে আছেন বিজিবি সদস্যরা। গুলি ছোড়ার পর মূল সড়কের পাশে বিভিন্ন গলি থেকে রাস্তায় থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে দেখা যায় হরতাল সমর্থকদের।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে থাকা বিজিবির কোনো সদস্যের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর ওই এলাকা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় একজনকে পিকআপভ্যানে করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হেফাজতের এক কর্মী বলেন, ‘আমরা হরতাল পালন করছি। পুলিশ আমাদের অন্যায়ভাবে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।
‘আমাদের দিকে গুলি ছোড়া হচ্ছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই হরতাল কর্মসূচি পালন করছিলাম।’
গাড়ি ভাঙচুর-ককটেল
সানারপাড় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বেলা ১১টার দিকে রাস্তায় যানজটে আটকে থাকা অন্তত ২০টি গাড়ি ভাঙচুর করে হরতাল সমর্থকরা। এর মধ্যে প্রাইভেটকার, বাস ও পিকআপভ্যান রয়েছে।
বেলা সাড়ে ১১টার আগে সানারপাড়ে বিজিবি ও পুলিশের দিকে তিনটি ককটেল ছোড়ে হরতাল সমর্থকরা।
যান চলাচল স্বাভাবিকের চেষ্টা
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকাল থেকে মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। মহাসড়কে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে, যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়। আমরা হরতাল সমর্থকদের বুঝিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।’
জেলার মৌচাক এলাকায় উপস্থিত থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকাল থেকে এই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ। শত শত গাড়ি আটকে গেছে। হাজারো মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। আমরা যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।’
গুলি করা হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, ‘হরতাল সমর্থকদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরে যেতে বলা হচ্ছে। কিন্তু তারা আমাদের কথা না শোনে ইটপাটকেল ছুড়ছে। পুলিশ বা বিজিবির পক্ষ থেকে কোনো গুলি করা হয়নি।’