চট্টগ্রামের হাটহাজারী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের হামলার পর পুলিশের গুলিতে পাঁচজনের প্রাণহানির প্রতিবাদে রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল করেছে ছাত্রদল। কয়েক মিনিট স্থায়ী হওয়া মিছিল শেষে অন্তত তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে তারা।
শনিবার দুপুরে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে থেকে শুরু হয়ে এলিফ্যান্ট রোড পর্যন্ত মিছিল করেন ছাত্রদলের কিছু নেতা-কর্মী।
মিছিলটি শেষ করে নেতা-কর্মীরা সায়েন্সল্যাব থেকে নিউমার্কেটের দিকে যাওয়ার সময় একটি সিএনজি, একটি বাস ও একটি লেগুনায় ঢিল ছুড়ে পালিয়ে যান তারা।
হঠাৎ করে গাড়িগুলোতে ঢিল ছোড়ায় আশপাশের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
তবে ছাত্রদল কর্মীরা সেখানে অবস্থান না করে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সটকে পড়েন।
ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি ছিল না। আর বিষয়টি নিয়ে কিছু জানাতেও পারেননি নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এম কাইয়ুম।
ছাত্রদলের মিছিল ও গাড়িতে ঢিল ছোড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি সকাল থেকেই ওই এলাকায় আছি। কিন্তু এমন কিছু শুনিনি। ছাত্রদল বা কেউ নিউ মার্কেট এলাকায় বিক্ষোভ করেনি। ভাঙচুরের ঘটনাও নেই।’
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সহসভাপতি জাকিরুল ইসলাম জাকির, মোক্তাদির হোসেন তরু, ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সাধারণ সম্পাদক সাফায়েত রাব্বি আরাফাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আকতার এবং সদস্যসচিব আমান উল্লাহসহ অন্যান্য নেতা।
শুক্রবার ঢাকার বায়তুল মোকাররম এলাকায় ধর্মভিত্তিক দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সরকার সমর্থকদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
এরপর চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মসজিদ থেকে মিছিল নিয়ে সরকারি ডাকবাংলা, সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় ও পরে থানায় হামলা চালান হেফাজত কর্মীরা। তাদের প্রতিহত করতে পুলিশ গুলি চালালে নিহত হয় চারজন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব ছিল আরও বেশি। সেখানে রেলস্টেশনে আগুন দেয়ার পাশাপাশি স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তর ও আনসার ক্যাম্পে পেট্রল ঢেলে আগুন দেন হেফাজত কর্মীরা। পরে হামলা হয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। সেখানেও পুলিশ গুলি চালালে একজন নিহত হয়।