সফরের দ্বিতীয় দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ভারতীয় সরকারপ্রধান নরেন্দ্র মোদি।
বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছেন দুই শীর্ষ নেতা। সফরসূচি অনুযায়ী দুই সরকারপ্রধান প্রথমে একান্তে বৈঠক করেন। এরপর শুরু হয় দ্বিপক্ষীয় বৈঠক।
বিকেল পাঁচটার পর মোদি পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। তাকে স্বাগত জানান শেখ হাসিনা।
বৈঠকে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত নানা বিষয়ে আলোচনার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনে যোগ দিতে শুক্রবার মোদি ঢাকায় আসেন। রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে শনিবার তিনি যান সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জে।
জেলা দুটির দুটি মন্দিরে প্রার্থনা ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ছাড়াও টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান ভারতীয় সরকারপ্রধান। এরপর তিনি ফেরেন ঢাকায়।
টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পুষ্পস্তবক অর্পণ। ছবি: নিউজবাংলা
এই সফরে দ্বিপক্ষীয় নানা বিষয়ের চেয়ে গুরুত্ব বেশি পেয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর পূর্তির বিষয়টি।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অভাবনীয় ভূমিকা, দুই দেশের সেনাদের একসঙ্গে যুদ্ধ করে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন দুই সরকারপ্রধান।
অমীমাংসিত নানা সমস্যার বিষয়টি সেভাবে উঠে না এলেও দুই দেশের আলোচনায় তা সব সময় থাকে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
মন্ত্রী জানান, দুই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা শেষে অন্তত পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি আগেই সেরে রেখেছে ঢাকা। এ ছাড়া যৌথভাবে কিছু প্রকল্প উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
সফরসূচি অনুযায়ী মোদির সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ফিরে যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি আরও দেড় ঘণ্টা বেশি দেশে অবস্থান করবেন বলে জানানো হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক শেষে মোদি বঙ্গভবনে যাবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। রাত ৯টায় তিনি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নিজ দেশের পথে রওনা হবেন।