বাংলাদেশ সফরের দ্বিতীয় দিন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তিনি শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার পর বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান জানিয়ে কিছুটা সময় তিনি নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এরপর বঙ্গন্ধুর আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
এর আগে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় মোদি টুঙ্গিপাড়ায় যান। সেখানে হেলিপ্যাডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানান।
টুঙ্গিপাড়ায় আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী যাবেন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর ওড়াকান্দিতে। সেখানে মতুয়াদের তীর্থস্থান হরিচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে পূজা দেবেন তিনি।
সফরের প্রথম দিন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমানে ঢাকায় আসেন মোদি।
বেলা ১১টায় বিমান থেকে নামার পর তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে গার্ড অফ অনার নেন মোদি। পরে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।
সেখান থেকে মোদি সরাসরি চলে যান ঢাকার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মোদি। পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিখে একটি গাছের চারা রোপণ করেন তিনি।
সেখান থেকে যান রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়ালে। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর ঘুরে দেখেন তিনি।
সফরের প্রথম দিন জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে মোদি।
বিকেলে নরেন্দ্র মোদি যোগ দেন জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে। সেখান থেকে সন্ধ্যা ৭টায় মোদি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রথম দিনের কর্মসূচি শেষ করেন।
দ্বিতীয় দিনের অন্য কর্মসূচি
কাশিয়ানী থেকে দুপুরে ঢাকায় প্যান-প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ফিরে বিশ্রাম নেবেন মোদি। বেলা তিনটায় তিনি যাবেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। সেখানে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।
তারপর মোদি যাবেন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বৈঠক করতে। বৈঠক শেষে সরাসরি বিমানবন্দরে যাবেন তিনি।