যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ১৯৭২ সালে লন্ডনের ডাউনিং স্ট্রিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক সফর যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে ‘বন্ধুত্ব গড়ার সহায়ক’ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘এখন আমরা ব্রিটিশ ও বাংলাদেশি বন্ধুত্বের আগামী ৫০ বছরের প্রত্যাশায় রয়েছি এবং আমি আপনাদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় ন্যাশনাল প্যারেড গ্রাউন্ডে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রচারিত বার্তায় জনসন বলেন, ‘জন্মের পর থেকে আপনারা জাতি হিসেবে কতটা অর্জন করেছেন, তা চিন্তা করা বিস্ময়কর।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন ২০১৮ সালে তার বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করেন, যখন তাকে ‘অনেক আন্তরিক এবং উদারতার সঙ্গে’ স্বাগত জানানো হয়।
তিনি যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধনের উপর জোর দেন, যা ৬ লাখ ব্রিটিশ-বাংলাদেশি গঠিত একটি শক্তিশালী কমিউনিটি, যারা যুক্তরাজ্যে প্রতিদিন অবদান রাখছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি বিশেষ করে আমাদের এনএইচএস (ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস) এর চমৎকার চিকিৎসক এবং নার্সদের কথা, যাদের অনেকেই কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধে মানুষের চিকিৎসা এবং টিকা দিতে সাহায্য করছে।’
জনসন বাংলাদেশকে বিশ্বের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের আরও সমৃদ্ধ এবং পরিবেশগতভাবে টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনের ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করতে এবং গ্লাসগো কোপ২৬-এ তার সাথে আবার দেখা হওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছি।’
বাংলাদেশের জনগণকে সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে অভিনন্দন জানান যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী।
বাসস