বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যাত্রাবাড়ীতে সড়কে মাদ্রাসাছাত্ররা, ফ্লাইওভারে আগুন

  •    
  • ২৬ মার্চ, ২০২১ ২০:০৩

‘তারা মোদির (ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) ঢাকায় আসার বিরোধিতা করছে। পাশাপাশি বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষ ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে প্রাণহানির ঘটনায় নানা স্লোগান দিচ্ছে।’

চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় হামলা ও পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হওয়ার পর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা অবরোধ করেছে কয়েকটি মাদ্রাসার ছাত্ররা।

শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তারা সেখানে ফ্লাইওভারেও অবস্থান নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

পুলিশ জানিয়েছে, মাদ্রাসাছাত্ররা যাত্রাবাড়ীর কুতুবাখালী এলাকায় সড়কে অবস্থান নিয়ে আছে।

যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীরা সড়কে অবস্থান নেয়ার পর গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তারা এলাকায় নিরাপত্তা বাড়িয়েছেন।

ছাত্ররা কী চাইছেন- এমন প্রশ্নে একই থানার একজন উপপরিদর্শক নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে বলেন, ‘তারা মোদির (ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) ঢাকায় আসার বিরোধিতা করছে। পাশাপাশি বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষ ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে প্রাণহানির ঘটনায় নানা স্লোগান দিচ্ছে।’

যাত্রাবাড়ীতে ফ্লাইওভারের ওপর আগুন ধরিয়ে দিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছেন অবরোধকারী মাদ্রাসা ছাত্ররা

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু ভারতের সরকারপ্রধান নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করছে কয়েকটি সংগঠন। এর মধ্যে আছে কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।

শুক্রবার মোদি ঢাকায় আসার পর বায়তুল মোকাররম এলাকায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় মোদিবিরোধীদের।

কিছুক্ষণের মধ্যে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে হেফাজতের সদরদপ্তর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে মিছিল বের করেন হেফাজতের নেতা-কর্মীরা।

ছাত্রদের অবস্থানের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়

তারা মসজিদ থেকে আনুমানিক ৫০০ গজ দূরে হাটহাজারী থানায় হামলা করেন। এ সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। তাতেও কাজ না হওয়ায় পরে রাবার বুলেট ও বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে চার হেফাজত কর্মী নিহত হন।

হেফাজত কর্মী-সমর্থকরা ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও বিক্ষোভে নেমেছে। বিকেল ৪টার দিকে স্টেশনের টিকিট কাউন্টারসহ সাতটি কক্ষে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন মাদ্রাসাছাত্ররা।

তারা রেললাইনের পাশে স্তূপ করে রাখা কাঠের স্লিপার লাইনের ওপরে এনে আগুন ধরিয়ে দেন। এ কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর