ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের প্রতিক্রিয়ায় বায়তুল মোকাররম এলাকায় ধর্মভিত্তিক দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সরকার সমর্থকদের ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটে।
জুমার নামাজের পর বেলা পৌনে দুইটার দিকে মোদিবিরোধীরা সমবেত হয়ে মসজিদ থেকে বাইরে বের হতে চেয়েছিল।
সেখানে আগে থেকে অবস্থান নিয়ে থাকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা। তারাও মসজিদে নামাজ পড়েন।
মোদিবিরোধীরা মিছিল প্রথমে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেন মসজিদের ভেতরেই। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সেখান থেকে বের হয়ে আসেন।
মিনিট দশেক পরে সরকার সমর্থকরা এসে মিছিল করতে থাকেন মসজিদের সামনের সড়কে। এ সময় তাদের ওপর ইটপাটকেল ছুড়ে মারা হয় মসজিদের ভেতর থেকে।
যে তরুণ ইট ছুড়ে মেরেছে, তাকে ধরে নিয়ে আসার সময় মোদিবিরোধীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। সেখান থেকে চলে এসে আবার একজোট হন তারা। শুরু হয় হামলা-পাল্টা হামলা।
নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের প্রতিবাদে জুমার নামাজের পর মসজিদ থেকে বের হয়ে জড়ো হয় ধর্মভিত্তিক দলের নেতা-কর্মীরা
এক পর্যায়ে সরকার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হলে মসজিদে ঢুকে যায় মোদিবিরোধীরা। সেখান থেকে তারা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন
মসজিদের ভেতরে ইট পাটকেল নিয়েই ঢুকে মোদিবিরোধীরা। সেখান থেকে বের হয়ে সেগুলোই তারা ছুড়ে মারে সরকার সমর্থকদের প্রতি
দুই পক্ষের সংঘর্ষের কারণে সাধারণ মুসল্লি যারা নামাজ পড়তে আসেন, তারা পড়েন বেকায়দায়
দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলার পর বায়তুল মোকাররমের সামনে এই অবস্থা তৈরি হয়
পরিস্থিতি মোকাবিলায় শটগান থেকে গুলি করতে থাকে পুলিশ
পুলিশ অবস্থান নেয় বায়তুল মোকাররমের পাশে ফুটওভারব্রিজের ওপরেও
নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় এক ফটোসাংবাদিক অবস্থান নেন পুলিশের পেছনে
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ আসে আশেপাশের বিভিন্ন থানা থেকে। কাঁদানে গ্যাসের পাশাপাশি ছোড়া হয় শটগানের গুলি
দুই পক্ষের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে নিরাপত্তা আশ্রয়ের জন্য ছুটছেন এই তরুণ
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে মোদিবিরোধীরা মসজিদের পাশে থাকা চারটি মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়
সংঘর্ষ এক পর্যায়ে বায়তুল মোকাররমের উত্তর প্রান্ত ছাড়িয়ে গুলিস্তান এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে
যে চারটি বাইরে আগুন দেয়া হয় তার তিনটিই ছিল দক্ষিণ প্রান্তে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের দিকে
সংঘর্ষের শেষ দিকে পিস্তল হাতে আসেন এক তরুণ। তিনি গুলি ছুড়তে থাকেন প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে