বাংলাদেশ ও ভারতের অকৃত্রিম বন্ধুত্ব ও সুসম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। ভারত সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন ঢাকা সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এ বৈঠকে জাপার শীর্ষ চার নেতা যোগ দেন। শুক্রবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি অন্তত ২৫ মিনিট স্থায়ী হয়।
জাপার চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বৈঠকে যোগ দেয়। প্রতিনিধিদলে ছিলেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বিরোধীদলীয় উপনেতা ও জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের, দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু ও কো–চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার।
বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের ঐতিহাসিক আয়োজনে উপস্থিত হতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি।
বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সভায়। দুই দেশের কানেকটিভিটি বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের সাথে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরালো হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন জাপার প্রতিনিধিদল।
জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব ও মুজিব শতবর্ষের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।
এ সময় জাপা নেতারা মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অকৃত্রিম সহায়তা, মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি বাস্তবায়ন, করোনাকালে বাংলাদেশকে টিকা ও অ্যাম্বুলেন্স দেয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪টি নদীর পানি বণ্টনে বাংলাদেশ যেন ন্যায্য হিস্যা পায় এ ব্যাপারে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করেন বিরোধীদলীয় নেতারা। এ ছাড়া অন-এরাইভাল ভিসা দেয়া ও স্কলারশিপ বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
তাকে বহনকারী এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমানটি শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বেলা ১১টায় বিমান থেকে নামার পর মোদিকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে গার্ড অফ অনার নেন মোদি। পরে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।
ওই সংবর্ধনার পর শেখ হাসিনা ও মোদি বিমানবন্দরে স্থাপিত অস্থায়ী মঞ্চে ওঠেন। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অফ অনার দেয়।
প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দরে উপস্থিত মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে মোদিকে পরিচয় করিয়ে দেন। পরে মোদি তার সফরসঙ্গীদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পরিচয় করান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে মোদির এ সফর। করোনাভাইরাস মহামারির পর এটাই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফর।