বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাড়ে চার ঘণ্টা পর শান্ত বায়তুল মোকাররম

  •    
  • ২৬ মার্চ, ২০২১ ১৭:১৮

জুমার নামাজ পড়ার পর মোনাজাত শেষ হতেই মোদিবিরোধী স্লোগান দিতে শুরু করেন ধর্মভিত্তিক দলের নেতা-কর্মীরা। এরপর তাদের হঠাতে ধাওয়া দেয় স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পরিস্থিতি চলে অন্তত সাড়ে চার ঘণ্টা।

প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীদের সঙ্গে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর কর্মীদের সংঘর্ষ থেমেছে।

শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এরপর যান চলাচলাও স্বাভাবিক হয়।

এর আগে জুমার নামাজ পড়ার পর মোনাজাত শেষ হতেই মোদিবিরোধী স্লোগান দিতে শুরু করেন ধর্মভিত্তিক দলের নেতা-কর্মীরা। এরপর তাদের হঠাতে ধাওয়া দেয় স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা।

ধাওয়া খেয়ে বিক্ষোভকারীরা মসজিদের ভেতরে চলে যায়। গেটের বাইরে এসে অবস্থান নেন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা। তাদের লক্ষ্য করে গেটের ভেতর থেকেই ইট-পাটকেল, জুতা নিক্ষেপ করতে থাকেন আন্দোলনকারীরা।

পরে আন্দোলনকারীরাও রাস্তায় নেমে আসলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। দুটি মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে দিতে দেখা যায়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার শেল, জলকামান ব্যবহার করে।

বিকেল সোয়া চারটার দিকে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের গাড়ি বহর মতিঝিল হয়ে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। খানিক পর আবারও শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এদিন বেলা ১১টায় বাংলাদেশে দুই দিনের সফরে আসেন নরেন্দ্র মোদি। তার এই সফর ঠেকাতে আগে থেকে আন্দোলন করে যাচ্ছিল ইসলামপন্থি কয়েকটি দল। একই দাবিতে নানা কর্মসূচি দিয়ে আসছিল ছাত্র অধিকার পরিষদসহ কয়েকটি বাম সংগঠনও।

মোদির সফর প্রতিহত করতে গত জুমার নামাজ শেষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় বিক্ষোভ করে কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রীক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ বলেছিল- ‘যদি মোদিকে আসতে দেয়া হয়, তাহলে আমরা সবাই সন্ত্রাসে পরিণত হব। বাংলা হবে আফগান, আমরা হব তালেবান।’

এ বিভাগের আরো খবর