বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাবিতে ছাত্রলীগের হামলায় দুই সাংবাদিক ‍গুরুতর আহত

  •    
  • ২৫ মার্চ, ২০২১ ২২:৩৯

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘দেখা যায় যে অনেকে কার্ড বানিয়ে সাংবাদিক সেজে ঘুরে বেড়ায়। যার কারণে অনেক সময় সাংবাদিক আর অসাংবাদিক চিহ্নিত করা যায় না। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা চিনতে পারেনি, তাই তারা না বুঝে হামলা করেছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগের হামলায় দুই সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন।

তারা হলেন বাংলা ট্রিবিউনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক আবিদ হাসান রাসেল ও প্রথম আলোর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক আসিফ হাওলাদার।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিকেলে ‘বাংলাদেশের জনগণ’ ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকায় জিয়াফতের আয়োজন করেন কয়েকজন ব্যক্তি।

বিকেল ৪টার দিকে অনুষ্ঠানের আগে একই স্থানে নেতা-কর্মীদের নিয়ে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের সহসভাপতি উৎফল বিশ্বাস। অনুষ্ঠানের আগমুহূর্তে আয়োজনকারীদের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান নেতা-কর্মীরা। এ সময় হামলার ভিডিও ধারণ করতে গেলে বাংলা ট্রিবিউনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক রাসেলকে পিটিয়ে আহত করা হয়।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহবুব, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক এস এম রিয়াদ, সার্জেন্ট জহুরুল হক ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা, বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক তানসেন শেখ, বিজয় একাত্তর হলের দপ্তর সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম তামিমসহ অনেকে এই হামলায় অংশ নেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

তবে মাজহারুল ইসলাম তামিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না বলে দাবি করেন। বলেন, ‘আমি কিছুই জানি না। আমি সেখানে ছিলাম না।’

প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই হামলায় তামিমের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হামলার শিকার আবিদ হাসান রাসেল বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করেন। তারা জিয়াফত অনুষ্ঠানের ব্যানার ছিড়ে ফেলেন। আমি এ সবের ছবি তুলছিলাম। এ সময় তারা আমার দিকে তেড়ে আসেন। তখন আমি আমার সাংবাদিক পরিচয় দিই। তারা আমার ফোন ও আইডি কার্ড কেড়ে নেন।

‘আমি বারবার বলতে থাকি, আমি সাংবাদিক। তারপরও তারা আমাকে মারতে থাকেন। একপর্যায়ে মারতে মারতে টিএসসির সঞ্জীব চত্বর থেকে ভেতরে নিয়ে যান। সেখানে আরেক দফা হামলা করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। আমি আত্মরক্ষার জন্য টিএসসির ভেতরে যেতে চাইলে, সেখানেও আরও মারধর করা হয়।’

এদিকে সন্ধ্যায় মোদিবিরোধী মিছিল শুরু করে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। জোটের মিছিল শেষে টিএসসি থেকে জোটের নেতা-কর্মীরা ভিসি চত্বরের দিকে যেতে থাকলে সেখানে তাদের ওপর হামলা করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

এ বিষয়ে আসিফ হাওলাদার বলেন, ‘আমি সংবাদ সংগ্রহ করতে ভিসি চত্বরের দিকে গেলে সেখানে আমার ওপর হামলা হয়। আমি আমার মোবাইল ফোনও বের করিনি। কিন্তু তারা আমাকে ছাড়েনি। ভিসি চত্বর থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমাকে টেনেহিঁচড়ে অন্ধকার দিকে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে মারতে মারতে মাথা ফাটিয়ে দেয়। তারা আমার সারা শরীরে আঘাত করেছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। কারা হামলা করেছে, আমরা বিষয়টি জানতে পারিনি। আমরা এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেখা যায় যে অনেকে কার্ড বানিয়ে সাংবাদিক সেজে ঘুরে বেড়ায়। যার কারণে অনেক সময় সাংবাদিক আর অসাংবাদিক চিহ্নিত করা যায় না। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা চিনতে পারেনি, তাই তারা না বুঝে হামলা করেছে।’

এ বিভাগের আরো খবর